এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জগদ্ধাত্রী পুজোয় চন্দননগর-কৃষ্ণনগরে নয় নাইট কার্ফু

নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও আসছেন মা। তবে একটু অন্যরূপে। সিংহবাহিনী চতুর্ভুজা হয়ে তিনি আসছেন কবীন্দ্রাসুর নিধনে। হেমন্তের বুকে হৈমবতীর আরাধনায় তাই চূড়ান্ত ভাবেই প্রস্তুত বাংলার দুই প্রাচীন শহর চন্দননগর ও কৃষ্ণনগর। আর সেই পুজোর শুরুর মুখেই দুই শহরবাসীকে মঙ্গলবার খুশির খবর দিল রাজ্য সরকার। এদিন নবান্ন থেকে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে ছট পুজোর জন্য ১০ ও ১১ নভেম্বর যেমন নাইট কার্ফুতে ছাড় দেওয়া হয়েছে তেমনি জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে হুগলি এবং নদিয়া জেলা জুড়েই আগামী শুক্রবার এবং শনিবার অর্থাৎ ১২ এবং ১৩ নভেম্বর নাইট কার্ফুতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ওই দুই শহরের মানুষই ১০ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ রাত অবধি ঠাকুর দেখতে পারবেন। ঘটনাচক্রে ১০ তারিখ ছট পুজো ও সেদিন থেকেই চন্দননগরের বুকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা।

মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এদিন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। সেখানেই জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে কার্ফুতে শিথিলতার বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে চন্দননগর এবং কৃষ্ণনগরে ১২ এবং ১৩ নভেম্বর রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা অবধি মানুষ এবং যান চলাচলে ছাড় দেওয়া হয়েছে। হুগলির চন্দননগর এবং নদিয়ার কৃষ্ণনগর জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য বিখ্যাত। প্রচুর মানুষ প্রতি বছর জগদ্ধাত্রী প্রতিমা দেখতে ভিড় জমান এই দুই শহরে। কিন্তু অতিমারি রোধে জারি থাকা রাত্রিকালীন কার্ফু পুজোর দিনগুলিতেও একই ভাবে জারি থাকবে কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে। নবান্নের এই বিজ্ঞপ্তির পর কাটল সেই ধোঁয়াশা। আর তাতেই দুই শহরেই নেমেছে খুশির রেশ। কেননা রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে কৃষ্ণনগর এবং চন্দননগরে রাত জেগে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখায় আর কোনও বাধাই রইল না।

তবে রাজ্যের চন্দননগর ও কৃষ্ণনগরের রাতে মণ্ডপে মণ্ডপে গিয়ে প্রতিমা দর্শনে কোনও বাধা না থাকলেও কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সমস্ত জগদ্ধাত্রী পুজো মণ্ডপগুলিকে ‘নো এন্ট্রি জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সেই ঘোষণা করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী। গত বছরে কোভিডের জন্য আড়ম্বরহীনভাবে এই দুই শহরেই হয়েছিল জগদ্ধাত্রী পুজো। স্বাভাবিকভাবেই এই বছর পুজো নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল সাধারণ মানুষের মনেও। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতিও এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই এবারে এই দুই শহরেই যে দর্শনার্থীদের ভিড় আছড়ে পড়বে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কার্যত রাজ্য সরকারের ঘোষণা এখন চন্দননগর ও কৃষ্ণনগরের মানুষের কাছে পুজোর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া উপহার হয়ে উঠেছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘দেখবেন ইলেকশানের পরে ওকে ছেড়ে দেবে’, কেষ্টকে নিয়ে বড় খবর দিলেন দিদি

বাগদোগরা বিমানবন্দরে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলে দেবকে জড়িয়ে ধরলেন যুবক

‘জয় শ্রীরাম’র কী মহিমা, যুবককে জড়িয়ে ধরলেন দেব

মিলছে না খোঁজ, শাহজানের ভাই সিরাজুদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস ইডির

প্রথম দফার ভোটে ৩ আসনে আসনে মতুয়া ও নমঃশূদ্র ভোট বিজেপি পায়নি

শুভেন্দু আগ বাড়িয়ে মন্তব্য না করলেই পারতেন, মানছেন পদ্ম নেতারাও

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর