নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে গেলে লড়াই জরুরি। বাস্তবেও সেই নিদর্শন দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা ব্লকের দুই ভাই বছর ১৭ এর সন্দীপ ও তাঁর ভাই রণদীপের জীবনে। ছোট থেকেই মা-বাবার মতন শক্ত বটগাছ পায়নি তারা। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী দিদিমার কাছে মানুষ তাঁরা। ভাঙা ঘরের ছাদ থেকে উঁকি মারে রোদ-বৃষ্টি। দুই ভাইয়ের স্বপ্ন দেশের জার্সি গায়ে তুলবে। প্রায় দুশোটির বেশি ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে তাঁরা। পায়ের জাদুতে মিলেছে অসংখ্য টফি, মেডেল ও সার্টিফিকেট।মাঠে রীতিমত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুই ভাই।
পরিচারিকার কাজ করে নাতিদের চাহিদা পূরণ করেন দিদিমা। বুঝতে দেননি বাবা মায়ের অভাব। সরকারি আবাস যোজনার ঘরের আর্জি জানিয়েও লাভ হয়নি।তাই ছোট্ট ঘরে নাতিদের নিয়ে কোনোরকমে জীবনযাপন করছেন দিদিমা। মাধ্যমিক দিয়ে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে বড় ভাই সন্দীপ। এই বয়সেই অন্ন জোগাতে দিনমজুরেরও কাজ করে সে।
সত্যি কি বিচিত্র না এই জীবন? কেউ মানুষ হয় সোনার পাথর বাটি পেয়ে , কেউ মানুষ হয় ভাঙা ছাদের বৃষ্টির জলে নেয়ে।তবে ফুটবলকে লক্ষ্য করে সমস্ত অভাব অনটন ভুলে এগিয়ে চলেছে সন্দীপ ও রণদীপ। আসলে চেষ্টাই সাফল্যের চাবিকাঠি। তাঁদের এই লড়াই পরিণতি পাক এই কাম্য।