-273ºc,
Tuesday, 30th May, 2023 12:24 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: যুবকের হাঁটুর (KNEE) ওপরের দিক ফুঁড়ে ঢুকে গিয়েছিল লোহার (IRON) রড (ROD)। তারপরে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে (HOSPITAL)। চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন ওই মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক (DOCTOR) সন্দীপ পাড়ি। রাতভর অপারেশন করে মিলেছে সাফল্য। শল্য চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই অস্ত্রোপচার খুব সহজ ছিল না। সাফল্যের পর চিকিৎসককে কুর্ণিশ জানাচ্ছেন রোগী ও তাঁর পরিবার।
পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির নৈহাটি গ্রামের মনসাতলায় চলছিল সরকারি নর্দমা তৈরির কাজ। জানা গিয়েছে, কংক্রিট ঢালাইয়ের জন্য লোহার রড দিয়ে সাটারিং করে রাখা হয়েছিল। শনিবার রাত্রি ৯ টা নাগাদ ওই রাস্তা দিয়েই নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন স্থানীয় এক যুবক। যুবকের নাম অভিজিৎ মাঝি। তখনই বেসামাল হয়ে পা পড়ে যায় ওই শাটারিংয়ে। যার পরিণতি হল ভয়ানক। আহত ব্যক্তি অপারেশনের পর জানিয়েছেন, পড়ে যাওয়ার ফলে তাঁর পায়ে লোহার রড একদিক থেকে ঢুকে অন্যদিকে বেরিয়েছিল। স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ব্যক্তি পেশায় রঙ মিস্ত্রি। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলেন চিকিৎসক সন্দীপ পাড়ি। আহতের মা বলেন, যারা শাটারিংয়ের কাজ করছিলেন তাঁদের রড ওই ভাবে রাখা ভুল হয়েছিল। ডাক্তারবাবু রাতভর অপারেশন করে ছেলেকে সুস্থ করে তুলেছেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সূত্রে জানানো হয়েছে, কোনও কর্মীর গাফিলতি ছিল না। রাতের অন্ধকারে না দেখে বেসামাল হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন যুবক। বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত আহত ও তাঁর পরিবারের পাশে সবরকম ভাবে আছে। যে কোনও সাহায্যে পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রতিনিধিরা এগিয়ে আসবেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, যুবক এখন অনেকতাই সুস্থ। এক- দু’দিনের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হবে। আর চিকিৎসক বলেন, তাঁর ভরসা ছিল তাঁর সাহস। আহত এবং আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসককে কুর্নিশ জানানো হয়েছে। চিকিৎসকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হাসপাতাল এবং জেলার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী মহল।