এই মুহূর্তে




বাবা দিনমজুর, মেয়ের স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার! উচ্চমাধ্যমিকে দুর্দান্ত ফল করে নজির গড়ল সুন্দরবনের সঞ্চিতা




নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক রেজাল্ট নিয়ে তেমন উত্তেজনা নেই। সশস্ত্র বাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান নিয়েই ব্যস্ত রাজ্যবাসী। প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন আপডেট জানতে উৎসুক দেশবাসী। গতকাল বুধবার (৭ মে) প্রকাশিত হয়েছে রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫০ দিনের মাথায় ফল প্রকাশিত হয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের। এ বছর প্রথম স্থান অধিকার করেছে বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। দ্বিতীয় হয়েছে কোচবিহারের তুষার দেবনাথ। সব মিলিয়ে ১ থেকে ১০ জনের তালিকায় রয়েছে ৭২ জন। তবে এই তালিকায় কিছু নাম না থাকলেও দারিদ্র্যকে জয় করে কিছু কিছু শিক্ষার্থীর রেজাল্ট মন ছুঁয়েছে সকলের। যেমন, সঞ্চিতা দাস। দারিদ্রতাকে জয় করেই উচ্চমাধ্যমিকে ৪৫৯ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। মাধ্যমিকেও ৬৩০ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেই উচ্চমাধ্যমিকে অসাধারণ রেজাল্ট করেছে সে। কিন্তু ১ থেকে ১০ জনের তালিকায় নাম নেই তাঁর। কিন্তু সমাজের অন্যতম উদাহরণ সঞ্চিতা। আগামী প্রজন্মের অনুপ্রেরণা। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রাম তেভাগার পীঠস্থান সন্দেশখালির বেড়মজুরের মেয়ে সঞ্চিতা। দারিদ্রের সঙ্গেই বড় হয়ে উঠা তাঁর। ঠিকভাবে পড়াশোনার জন্যে ছিল না তাঁর প্রাইভেট টিউটর। তা সত্ত্বেও উচ্চমাধ্যমিকে ৯১.৮% নম্বর পেয়েছে সঞ্চিতা। ইংরেজিতে ৯৪ পেয়েছে, বায়োলজি পেয়েছে ৯৯ এবং ফিজিক্সে পেয়েছে ৯৪। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পেরিয়েই ভবিষ্যতের অগ্রগতি শুরু হয় প্রতিটি মানুষের। তাই সঞ্চিতারও চোখভর্তি স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার। সঞ্চিতা ডাক্তার হয়ে বেড়মজুর সহ রাজ্য তথা দেশ বিদেশের সকল গরীব অসহায় মানুষের সেবা করতে চায়। কিন্তু তাঁর এই পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আর্থিক অনটন। দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালিয়ে ভীষণ কষ্টে মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালান সঞ্চিতার বাবা সঞ্জু দাস। ভীষণ শান্ত, নম্র, ভদ্র ও মিষ্টি স্বভাবের মেয়ে তিনি। ছোট থেকেই পড়াশোনায় খুব আগ্রহ তাঁর।

শিমুলহাটি ফুলমনি আদর্শ বিদ্যামন্দির (এইচ.এস) থেকে মাধ্যমিক দেওয়ার পর দেবনগর মোক্ষদাদিন্দা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই চমৎকার রেজাল্ট নিয়ে পাশ করল সঞ্চিতা। সঞ্চিতার অসাধারণ রেজাল্টে বাবা মায়ের পাশাপাশি গর্বিত আত্মীয় স্বজন ও গ্রামের সকলেই। এই রেজাল্টে ভীষণ খুশি তাঁর বর্তমান ও আগের স্কুলের সকল শিক্ষক/শিক্ষিকারাও। কিন্তু মেয়ের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন কীভাবে পূরণ করবেন সঞ্চিতার বাবা ও মা, সেটাই এখন তাঁদের একমাত্র চিন্তার বিষয়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মালদায় অপরাধ দমনে পুলিশের নয়া পদ ডিএসপি (ক্রাইম), অনুমোদন দিল নবান্ন

জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার আপ বিধায়ক রমন অরোরা

‘কোটাতেই শুধু কেন পড়ুয়ারা আত্মহত্যা করছে?’, রাজস্থান সরকারকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

বসিরহাটের মিনাখাঁ ব্লকে টর্নেডোর মতো এক আজব প্রাকৃতিক দৃশ্য ঘিরে চাঞ্চল্য

মোল্লা ইউনূসের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন বাংলাদেশের এই ব্যক্তি

এক বছরে কতটা প্রত্যাশা পূরণ? জনতা জনার্দনের রায় জানতে সমীক্ষা চালাচ্ছে oneindia

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ