এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দুঃখের দিনেও অসৌজন্যের রাজনীতি শুভেন্দুর

নিজস্ব প্রতিনিধি: তাঁর অভিধানে যে ‘রাজনৈতিক সৌজন্য’ বলে কোনও শব্দ নেই, তা একবার ফের বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার ছিল বন্দে ভারতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এদিকে ভোর সাড়ে তিন’টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM) নরেন্দ্র মোদি’র (NARENDRA MODI) মা। তবু সরকারি অনুষ্ঠানে ভারাক্রান্ত মন নিয়েই ভার্চুয়ালি উপস্থিত তিনি। তাঁকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE)। তবু এমন দিনেও রাজনীতি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (SUVENDU ADHIKARY)। এমন শোকের দিনে আক্রমণাত্মক সেই রাজনীতিকে মোটেই ভালো চোখে নিচ্ছে না বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ।

ভোরে নিজের মায়ের দেহ দাহ করে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক ভাবে চেয়েছিলেন বাংলায় এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে। সেই জন্য তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই বলেন, এখন ওঁকে বিশ্রাম নিতে বলবেন। এদিন সকালই ট্যুইটে শোকপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। লিখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাঁর সমবেদনা। হীরাবেন দেবীর আত্মার শান্তি কামনাও করেছেন তিনি। এদিন প্রধানমন্ত্রী ভাঙা গলায় মায়ের স্মৃতিচারণা করার পরে বলেন, দেশের প্রতি বাংলার মানুষের প্রেম আছে।

 একদিকে যখন হৃদয় বিদারক ও সৌজন্যের এই ছবি তখন মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে ওঠার আগেই বিজেপির একাংশ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেন। সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক স্লোগানে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদ জানিয়ে মঞ্চে না উঠেই বক্তব্য পেশ করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে দেখা গেল স্লোগান দিতে না করতে।

এরপরেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে দেখা গেল শুভেন্দুকে। তিনি বললেন, ‘আমি আছি বলেই মঞ্চে উঠতে পারেননি ওঁ’। বলেন, ‘আমার কাছে হারের যন্ত্রণা ভোলেননি’। আরও বলেন, ‘প্রাক্তণ করব’, ‘নিম্ন রুচি’। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। দলের নেতা তথা প্রধানমন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুর পরে কী করে শুভেন্দু এমন বক্তব্য রাখতে পারেন! তা নিয়ে সরব হয়েছেন খোদ পদ্ম শিবিরের নেতৃত্বই। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, ‘অসৌজন্য’। অন্যদিকে হুগলীর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ‘স্লোগান’ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এটা ভেতর থেকে আসে’। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তা বলে রাজনৈতিক স্লোগান সরকারি মঞ্চে? প্রশ্ন, এমন দুঃখের দিনেও?

উল্লেখ্য, এর আগে নেতাজি জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের বিরোধিতা করে সরকারি মঞ্চ ছেড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের দাবি, সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক স্লোগান ঠিক নয়। এদিন সবুজ শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বোঝা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি মঞ্চকে রাজনীতির স্টেজ করার বিরোধিতা করেছেন। তবুও তিনি প্রধানমন্ত্রীর মায়ের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অথচ শুভেন্দু ছিলেন আক্রমণাত্মক। যা কাম্য নয়। ‘সৌজন্য’ প্রসঙ্গে সবুজ শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বারবার সৌজন্য দেখিয়েছেন বিরোধী দলনেতার প্রতি। তবু অসৌজন্যের রাজনীতি করেন শুভেন্দু। তাই শুভেন্দু’র আজকের বক্তব্য সম্পূর্ণ ‘ভুয়ো’। রাজনৈতিক মহল বলছে, বাংলার রাজনীতি মানে সৌজন্য। সেই সৌজন্যের রাজনীতি শুক্রবার কলঙ্কিত হল।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তিন তোলাবাজ যুবককে গ্রেফতারের দাবিতে শান্তিপুর থানা ঘেরাও করে ডেপুটেশন দিলেন আমজনতা

জনজাতি সম্প্রদায়কে নিয়ে মায়াপুর ইসকনের তিনদিন ব্যাপী কনভেনশন

নিউটাউনে উদ্ধার হওয়া ক্ষতবিক্ষত যুবক করুণাময়ীর এইচএসবিসি ব্যাংকের কর্মী

মালদার চাঁচলে মিঠুনের রোড শোতে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তৃণমূলের

তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে গঙ্গারামপুরে দেবের রোড শোতে জনসুনামি

‘বিজেপির ১০ জন নেতা যোগাযোগ রাখছেন’, বোমা ফাটালেন অভিষেক

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর