এই মুহূর্তে




গজলডোবার টাকিমারিতে বাঁধ ভাঙল তিস্তার, পরিদর্শনে সেচ দফতরের আধিকারিকেরা

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: বিপদ বাড়ছিল শুক্রবার রাত থেকেই। শনি সকালে সেই বিপদ আরও বেড়ে গেল। সিকিমে প্রবল বৃষ্টির জেরে সেখানে তিস্তার(Teesta) বুকে থাকা কালিঝোরা ড্যাম থেকে ছাড়া হচ্ছে জল। সেই জল তিস্তা দিয়ে হু হু করে নেমে আসছে বাংলার(Bengal) বুকে জলপাইগুড়ি জেলার(Jalpaiguri District) গজলডোবায়। সেই বাঁধ বাঁচাতে শুক্রবার রাত থেকেই জল ছাড়া শুরু হয়েছে। শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত গজলডোবা জলাধার(Gajaldoba Barrage) থেকে ২ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। আর সেই জলের তীব্র স্রোতের মুখে পড়ে এদিন সকালেই টাকিমারিতে(Takimari) বাঁধ ভেঙেছে(Spar Broken) তিস্তার। সেই খবর পেয়ে এদিন বেলার দিকে তড়িঘড়ি করে ভাঙা বাঁধ মেরামতিতে নেমেছে সেচ দফতর। প্রাথমিক ভাবে বোল্ডার ফেলে সেই ভাঙা বাঁধ সারাইয়ের চেষ্টা চলছে। কিন্তু তিস্তার প্রবল স্রোতে সেই সব বোল্ডার ভেসে চলে যাচ্ছে। আর সেই ঘটনা ঘিরেই এখন তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার তিস্তার তীরবর্তী এলাকাগুলিতে।

আরও পড়ুন, Online-এ খাজনা জমা দেওয়া হল আরও সহজ, মোবাইলে আসবে OTP

জানা গিয়েছে, গতকাল রাত থেকে গজলডোবা জলাধারে জল বাড়া শুরু হতেই জলপাইগুড়ি জেলার বোয়ালমারির নন্দনপুরে তিস্তার জল ঢুকতে শুরু করে দেয়। তার জেরে বাহিরের চর এলাকায় ২৬২টি বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন জলপাইগুড়ি সদরের মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী ও বিডিও মিহির কর্মকার। পাশাপাশি, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল পুলিশও। চর থেকে বাসিন্দাদের দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা শুরু হয়ে যায় রাতেই। এদিন সকালে খবর মিলেছে, ক্রান্তির চ্যাংমারি এলাকাতেও পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। সেখানে ৬৭টি পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়ায় মোতায়েন করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রাতেই গজলডোবা এলাকায় তিস্তার পাড়ে শুরু হয়ে যায় মাইকিং যাতে আশেপাশের এলাকার মানুষেরা সতর্ক হয়ে যান। রাত থেকে শুরু হয় গজলডোবা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পালা।

আরও পড়ুন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে রাতে মহিলাদের কাজের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণবিধি প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার

এদিন সকাল থেকে বীরেন বস্তি এলাকায় ভাঙতে শুরু করে তিস্তার বাঁধ। যার জেরে প্রবল আতঙ্কে পড়ে যান এলাকার মানুষজন। জরুরি ভিত্তিতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নদীর পাড়ে মজুত রাখা হয়েছে বালির বস্তা, বোল্ডার এবং তার। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন সেচ দফতরের আধিকারিকেরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গতকাল রাত থেকেই একটু একটু করে বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে। সারারাত তিস্তার গর্জন শোনা গিয়েছে। সকালেও গর্জে চলেছে উত্তরবঙ্গের এই পাহাড়ি নদী। নদীর এই ভয়াল রূপ দেখে গতকাল সারারাত ঘুমাতে পারেননি এলাকার মানুষজন। বাঁধ ভেঙে গেলে বহু গ্রাম তলিয়ে যাবে। টাকিমারিতে অবস্থা সব থেকে খারাপ। সেখানে এদিন পরিদর্শনে যান, রাজ্যের সেচ দফতরের উত্তর-পূর্বের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক সহ অন্যান্য কর্তারা। কৃষ্ণেন্দুবাবু জানিয়েছেন, ‘তিস্তায় এখন হাই ফ্লাড চলছে। নদী উত্তাল। টাকিমারীতে তিস্তা আচমকা বাঁক নিয়েছে। সেখানেই বাঁধে আঘাত করেছে নদী। বেশ কিছুটা জায়গায় বাঁধ ভেঙেছে। বোল্ডার দিয়ে তা সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতির ওপর আমরা নজর রাখছি।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোমবার চতুর্থীতে অসুর হয়ে হাজির হচ্ছে বৃষ্টি, সঙ্গে রাখুন ছাতা

বারাসতের দক্ষিণপাড়ায় ৪৫৪ বছরের শিবের কোঠার দুর্গাপুজো সংকল্পিত হয় যোধাবাঈয়ের নামে

চাহিদা তুঙ্গে, বর্ধমান থেকে মালয়েশিয়ায় গেল জামদানি

মাত্র ৯৯৯ টাকা ! পুজোয় ঘুরে আসুন ডুয়ার্স থেকে, মিলবে একাধিক সুবিধা

বন্ধ বেলুড় মঠ জেটি ঘাট, একাধিক দাবি নিয়ে কর্মবিরতিতে লঞ্চ কর্মীরা

কেঁচো খুড়তে কেউটে! অপহরণ মামলার তদন্তে নেমে কোটি কোটি প্রতারণা চক্রের হদিশ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর