নিজস্ব প্রতিনিধি: মহাভারতের বিরাট রাজার কথা আমরা সকলেই জানি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লক সেই বিরাট রাজার রাজধানী বিরাট নগরের স্মৃতি আজও বহন করে চলেছে। মহাভারতের সেই বিরাট নগর কাল ক্রমে বৈরাঠা ও বর্তমানে বৈরাট্টা নামেই পরিচিতি পেয়েছে। এলাকায় মহাভারত খ্যাত সেই শমীবৃক্ষ এবং গড়দিঘি, আলতা দীঘি ও মালিয়ান দীঘি এখনও রয়েছে। জন শ্রুতি থেকে জেলার ইতিহাসবিদদের জোরাল দাবি যে এই শমী বৃক্ষের তলেই অজ্ঞাত বাসে থাকাকালীন পঞ্চপান্ডব তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিল। লোকমুখে প্রচলিত এলাকার তিনটি বিশাল আকার দীঘিগুলি বিরাট রাজার গোশালায় থাকা গরুদের স্নান করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
আর এই মহাভারতের স্মৃতি বিজড়িত হরিরামপুরে গড়দিঘির পাড়েই গড়ে উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্যতম গড়দিঘি পর্যটন কেন্দ্র। প্রত্যেক বছরই বহু দূর-দূরান্ত থেকে হাজার-হাজার মানুষ এই পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে আসেন। ঘন জঙ্গলে ঘেরা রাত্রি যাপনের কটেজ, নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দীঘির জলে বোটিংয়ের পাশাপাশি কমলালেবু-সহ একাধিক ফলের বাগান দেখলে মনেই হতে পারে আপনি উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং কিংবা কালিম্পংয়ের কোনও এলাকায় এসেছেন।
চলতি বছর ৩ জানুয়ারি থেকে গড়দিঘিতে করোনার প্রকোপ বাড়তেই প্রশাসনিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই অবস্থায় পর্যটকদের আনা গোনা বন্ধ হতেই চরম সমস্যায় পড়েছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। শিশুদের খেলার নাগরদোলা, চড়কি গাড়ির পাশাপাশি পর্যটন কেন্দ্রে থাকা নানান রকমের খাবারের ছোট দোকানদার সকলেরই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেই আশাতেই চেয়ে রয়েছেন তারা।