নিজস্ব প্রতিনিধি: হাঁসখালি গণধর্ষণ কাণ্ডে ধৃত সাতজনকে শুক্রবার আবারও পেশ করা হল রানাঘাট মহকুমা আদালতে। আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তরা এতদিন জেল হেফাজতে ছিল। শুক্রবার অভিযুক্তদের রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালি, প্রভাকর পোদ্দার, রঞ্জিত মল্লিক, আকাশ বাড়ুই, দীপ্ত গয়ালি, সমরেন্দু গয়ালি, পীযূষ কান্তি ভক্তকে আদালতে তোলা হয়। এদিন আদালতে অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা করতে আদালতে পৌঁছন সিবিআই পক্ষের আইনজীবীরা।
কলকাতা হাইকোর্টে হাঁসখালি গণধর্ষণ কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়ে মে মাসের ২ তারিখে। এই মামলা নদিয়া জেলা আদালত থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তিনি জানান, আদালতের মামলা স্থানান্তরের ক্ষমতা আছে। অন্যদিকে হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে মৃত নির্যাতিতা নাবালিকার নাম পরিচয় প্রকাশ্যে আনায় বিজেপির সত্যানুসন্ধান কমিটির এক সদস্যার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে আদালতে মামলা করেন সুমন সেনগুপ্ত নামে এক আইনজীবী। অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও নির্যাতিতার নাম নিয়েছিলেন সাংবাদিক সম্মেলনে। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই আদালতে আবেদন জানিয়ে বলেন আদালত যেন সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়। এর পর আদালত জানিয়ে দেয়, কোনও ধর্ষণকাণ্ডেই কোনও নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা যাবে না। অন্যত্রও উল্লেখ করা যাবে না তাঁর নাম। সেক্ষেত্রে তদন্তে ক্ষতি হতে পারে। মামলার অন্যান্য ব্যক্তিরাও জেনে গেলে তদন্তে সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি সেদিন হাঁসখালিকাণ্ডে আইনজীবী সুমন সেনগুপ্তের দায়ের করা মামলারও শুনানি হয় একসঙ্গে। সেই মামলায় দাবি করা হয়, বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির এক মহিলা সদস্য সাংবাদিক বৈঠকে হাঁসখালি গণধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে এনেছিলেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক আদালত। পাশাপাশি ওই ঘটনায় নিম্ন আদালতে যে মামলা দায়ের হয়েছে তার শুনানি নদিয়ার আদালতের পরিবর্তে কলকাতার কোনও আদালতে করার দাবিও জানানো হয়।