নিজস্ব প্রতিনিধি: শৌচাগারে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগ স্থানীয় এক কিশোরের বিরুদ্ধে। ধর্ষণ করে ওই নাবালিকাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার(Uttar Dinajpur) কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকায়। পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। নির্যাতিতাকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির পাখা সারানোর জন্য সোমবার স্থানীয় এক কিশোরকে ডাকা হয়। সে ইলেকট্রিকের কাজ জানত অল্পবিস্তর। সেই সময় বাড়িতে একাই ছিল ১০ বছর বয়সী পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ওই নাবালিকা। ওই কিশোরী শৌচাগারে যাওয়ার সময় তার পিছু নেয় বাড়িতে কাজ করতে আসা ওই কিশোর। অভিযোগ, এর পর শৌচাগারের মধ্যে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সে। কালিয়াগঞ্জের রায়পুর এলাকার বাসিন্দা নির্যাতিতা নাবালিকা। মা ও ঠাকুমার সঙ্গে ওই বাড়িতে থাকত সে। বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। ফলে বাড়িতে থাকেন না তিনি। তার মা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেন অর্থ উপার্জনের জন্য। এদিন ধর্ষণের পর ওই নাবালিকাকে কাউকে কিছু না জানানোর নির্দেশ দেয় ১৪ বছর বয়সী অভিযুক্ত। এমনকি কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। নাবালিকাও প্রথমে ভয়ে বাড়িতে কিছু জানায়নি। এরপর নাবালিকার রক্তক্ষরণ শুরু হলে ঠাকুমার সন্দেহ হয়। এরপরই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সোমবার রাতেই নির্যাতিতাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি সোমবার রাতেই হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।