নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ির গাজোলডোবা ক্যানেল রোড থেকে দুটি জখম ক্যাঙারু শাবক উদ্ধার করে বৈকুণ্ঠপুর বনবিভাগের কর্মীরা। তাদের শরীরে গুরুতর আঘাত ছিল। গাজলডোবার কাছে দুটি জখম ক্যাঙারু উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা পর, জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম বন রেঞ্জের ফারাবাড়ি নেপালি বস্তি এলাকা থেকে আরেকটি অস্ট্রেলীয় ক্যাঙারু শাবককে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া জখম ক্যাঙারু শাবকগুলিকে চিকিৎসার জন্য বেঙ্গল সাফারিতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বন দফতরের আধিকারিকদের একটি দল।
মাত্র ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে জলপাইগুড়ি জেলায় মোট ৩টি ক্যাঙারু শাবক উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত জানান, তাঁদের কাছে খবর ছিল যে, গাজোলডোবা দিয়ে কিছু বন্যপ্রাণী পাচার হবে। সেই মতো তাঁরা প্রস্তুত ছিলেন। টহলদারি করার সময় তাঁদের কাছে খবর আসে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে দুটি ক্যাঙারু। কারা কোথা থেকে এদের নিয়ে এসেছে, বা কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, তা জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জানা গিয়েছে, পাচার করার উদ্দেশ্যে ক্যাঙারুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গোপন সূত্রে সেই খবর পান বন দফতরের আধিকারিকরা। শুক্রবার রাতে বন দফতরের কর্মীরা টহলদারি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় জলপাইগুড়ি জেলার গাজোলডোবা এলাকার ক্যানেল রোড থেকে জখম ক্যাঙারু শাবকদুটি উদ্ধার হয়। একটি স্করপিও গাড়ি থেকে প্রাণীদুটিকে উদ্ধার করে বন দফতরের আধিকারিকরা। এর পর ক্যাঙারু দুটিকে বেলাকোবা রেঞ্জে নিয়ে আসা হয়। এরপর বৈকুণ্ঠপুর ডাবগ্রাম রেঞ্জের অন্তর্গত ফাড়াবাড়ি নেপালি বস্তি এলাকায় আরেকটি ক্যাঙারু শাবক উদ্ধার হয়। শনিবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্যাঙারুটিকে দেখতে পেয়ে ধরে ফেলেন। এর পর বন দফতরের হাতে তুলে দেন তাঁরা।