নিজস্ব প্রতিনিধি: দলকে চরমতম অস্বস্তিতে ফেলে দেওয়া পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার কাঁথি পুরসভার(Contai Municipality) চেয়ারম্যান সুবল মান্নাকে(Subal Manna) পুরপ্রধানের পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন ওই পুরসভারই ১৬জন তৃণমূল(TMC) কাউন্সিলর। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার তাঁরা সবাই মিলেই সুবলের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন। যদিও সেই অনাস্থা(No Confidence Motion) আনার প্রক্রিয়ায় ভুল আছে দাবি করে চেয়ার ছাড়তে নারাজ সুবল। তাঁর দাবি, ‘যে ঘটনার জন্য আমাকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল, সেই ঘটনার জন্য আমি চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছি। দল যা করবে করুক। সে বিষয়ে আমি কিছু মন্তব্য করব না। আইনে যা আছে তাই হবে। সে বিষয়ে আমি কিছু মন্তব্য করব না। যে দিন অনাস্থা আসবে, সে দিন দেখা যাবে। আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে কী হয়েছে, তা কাঁথির মানুষ ভালই জানেন। মানুষ যা রায় দেবেন, আমি মাথা পেতে নেব।’ যদিও অনেকে মনে করছেন অনাস্থার ঘটনার জল গড়াতে চলেছে আদালতে।
উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর, কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম এবং তাঁকে ‘গুরুদেব’ বলে মেনে দলের কোপে পড়েছেন সুবল। ওই ঘটনার পর দলের জেলা সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা তাঁকে শোকজ করেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শোকজের জবাব চাওয়া হলেও সুবল সেই জবাব দেননি। এর পরই দলের রাজ্য নেতৃত্ব সুবলকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ পাঠান। কিন্তু সেই নির্দেশকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না সুবল। বরঞ্চ পাল্টা দাবি করছেন, তিনি ইস্তফা নিয়ে কোনও নির্দেশ পাননি। তাই তিনি কোনও ভাবেই পদত্যাগ করবেন না। যদিও এদিন কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি(Suprakash Giri) জানিয়েছেন, কাঁথি পুরসভার ২২ জন কাউন্সিলারের মধ্যে ১৭ জনই তৃণমূলের। সুবলকে বাদ রেখে বাকি ১৬ জনই তাঁর অনাস্থার দাবিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। এর পর নিয়ম মেনে চেয়ারম্যানকে অপসারণের প্রক্রিয়া এগোবে। ১৬ জন কাউন্সিলার আলোচনা করে পুর আইন অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। সময়সীমা মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ হবে। নিয়ম মেনে পুরসভার রিসিভিং বিভাগে অনাস্থা প্রস্তাবটি জমা দেওয়া হয়েছে।