নিজস্ব প্রতিনিধি: বাবা-মা কেউ নেই। মা মারা গিয়েছে আর বাবা নিখোঁজ। নাবালিকাকে(Minor Girl) তাই থাকতে হচ্ছিল দুই কাকার(Uncles) সঙ্গে। কার্যত তাঁরাই ছিলেন ওই নাবালিকার অভিভাবক। রক্ষকও। কিন্তু তারাই হয়ে গেলেন ভক্ষক। মত্ত অবস্থায় ভাইঝিকে দুইজনই নিয়মিত ধর্ষণ(Molestation) করতেন। কাউকে বললে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে খেতে না দেওয়ার ভয়ও দেখানো হতো নিয়মিত। শেষে নাবালিকা বাধ্য হয় বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানাতে। কার্যত তাঁদের সাহায্যেই শুক্রবার রাতে স্থানীয় থানায় গিয়ে দুই কাকার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই নাবালিকা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই গ্রেফতার করা হয় দুই কাকাকে। ঘটনার জেরে চমকে গিয়েছেন খোদ পুলিশের আধিকারিকেরা। কার্যত এই ঘটনা প্রমাণ করে দিল নিজের লোকেরাও আর নিরাপদ নয় মেয়েদের জন্য। দেশের মেয়েরা নিরাপদ নন তাঁদের বাড়িতেও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বীরভূম(Birbhum) জেলার সাঁইথিয়া(Snaithia) থানা এলাকায়।
আরও পড়ুন জাতীয় সড়কের জন্য অধিগৃহীত জমির ক্ষতিপূরণ চাপছে রাজ্যের ঘাড়ে
জানা গিয়েছে, দুই কাকার কাছে থাকত ওই নাবালিকা। বাড়িতে আর কেউ থাকত না। সেই সুযোগেই নিয়মিত রাতের বেলা দুই কাকাই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করত। শুক্রবার সকালে বিষয়টি প্রথমে প্রতিবেশীদের জানায় ওই নাবালিকা। এর পর প্রতিবেশীদের সাহায্যে শুক্রবার রাতে নিজেই সাঁইথিয়া থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে ওই নাবালিকা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নাবালিকার দুই কাকাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ওই নাবালিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে পাঠিয়েছে সিউড়ি হাসপাতালে। বিষয়টি নিয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটিরও ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হচ্ছে। আমরা এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেও বিষয়টি জানার চেষ্টা করব।’ ঠিক কবে থেকে মেয়েটির ওপর এই অত্যাচার করা হচ্ছে তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।