এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জাতীয় সড়কের জন্য অধিগৃহীত জমির ক্ষতিপূরণ চাপছে রাজ্যের ঘাড়ে

নিজস্ব প্রতিনিধি: কেষ্টগড় বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই ফাঁস করেছেন যে তিনি দিল্লিতে বসেই বাংলার ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারকে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। এবার সামনে এল আরও এক ষড়যন্ত্রের ঘটনা। কার্যত ইচ্ছাকৃত ভাবে বাংলার(Bengal) ঘাড়ে আরও আর্থিক বোঝা চাপানোর পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবার থেকে বাংলার বুকে জাতীয় সড়ক(National Highway) নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অধিগৃহীত জমির ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকেই। এতদিন এই খরচ সম্পূর্ণভাবে বহন করত কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের প্রতিনিধিদের। সব থেকে বড় কথা এই নীতি দেশের মধ্যে শুধুমাত্র আরোপিত হচ্ছে বাংলার জন্য। দেশের আর কোনও রাজ্যের ক্ষেত্রে এই নীতি আরোপিত হচ্ছে না।

আরও পড়ুন নতুন বাংলা বছরে তৃণমূলে কদর বাড়ছে নয়া প্রজন্মের

নবান্ন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সচিব আল্কা উপাধ্যায় সহ পদস্থ কর্তারা। আগামী অর্থবর্ষে জাতীয় সড়ক নির্মাণ ও সম্প্রসারণ নিয়ে বার্ষিক পরিকল্পনার বৈঠক ছিল। সেখানেই মন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তা জানান, পশ্চিমবঙ্গ ভীষণ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। অন্যান্য রাজ্যের মতো এখানে প্রকল্পের জন্য জমি পাওয়া সহজ নয়। খরচও অনেকটাই বেশি। সব মিলিয়ে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই এবার থেকে অতিরিক্ত খরচের ভার বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকেই। কিন্তু মজার কথা এই ধরনের সমস্যা দেশের সব রাজ্যেই দেখা যায়। কিন্তু তাঁদের ক্ষেত্রে কেন্দ্র সর খরচা বহণ করবে, কিন্তু বাংলার ক্ষেত্রে সেই খরচ বহণ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। সূত্রে জানা গিয়েছে কেন্দ্রের এই নীতি মুখ বুজে মেনে নিতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন। কেন্দ্র থেকে এই মর্মে চিঠি দেওয়া হলেই সেই মামলা দায়ের হবে।

আরও পড়ুন লন্ডনের বুকেও এবার ‘বিশ্ব বাংলা’ ব্র্যান্ড, পথ চলা শুরু পয়লা বৈশাখেই

প্রসঙ্গত, রাজ্যে জাতীয় সড়কের কাজ হয় দু’টি সংস্থার মাধ্যমে। এক, National Highway Development Authority বা NHAI এবং রাজ্য সরকারের পূর্তদফতরের জাতীয় সড়ক শাখা। আগামী দিনে রাজ্য পূর্তদফতরের মাধ্যমে যেসব জাতীয় সড়কের কাজ হবে, তার জন্য প্রযোজ্য হবে মোদি সরকারের এই নীতি। তবে একই রাজ্যে দুই সংস্থার জন্য দু’রকম নিয়ম কেন? এর কোনও সদুত্তর কেন্দ্র দিতে পারেনি বলেই দাবি রাজ্যের আধিকারিকদের। নবান্নের এক পদস্থ কর্তার কথায়, জাতীয় সড়কের সংযুক্তকারী বাইপাস এবং ‘রিং রোডের’ ক্ষেত্রে রাজ্যকে ক্ষতিপূরণের অন্তত ২৫ শতাংশ টাকা দিতে হবে বলে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তবে এ সংক্রাম্ত চিঠি এলে সবটা পরিষ্কার হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন রাজ্যবাসীকে নবর্ষের শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপালের

নবান্নের এক আধিকারিক জানান, জাতীয় সড়কের কাজের ক্ষতিপূরণের অর্থ মেটায় কেন্দ্র। তবে নির্দিষ্ট কিছু প্রকল্প রয়েছে, যেখানে চুক্তি অনুযায়ী টাকা দেয় রাজ্য। তবে তা সামান্য কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। যেমন, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৫০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা রাজ্যের। কিছুদিনের মধ্যেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হতে চলেছে। তবে বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে রাজ্যের পক্ষে এই টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে দিল্লিকে। তারা এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। ফলে ভবিষ্যতে নতুন নিয়ম চালু হলে বাংলায় জাতীয় সড়কের কাজ নিয়ে সংশয়ের আশঙ্কা থাকছে বলে জানান রাজ্যের এক পদস্থ কর্তা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মানিকতলায় বহুতলে রবিবার রাতে ভয়ংকর আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন

ফুসফুসের মধ্যে নাকছাবির অংশ, বের করতে সফল চিকিৎসক

ভাঙড়ে রবিবার দুপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংস আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

আগামী ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

ভোটের কাজে এবার নেওয়া হচ্ছে স্কুলবাসও

প্রতিপক্ষের নাম ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিরোধীরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর