নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ্যতা অর্জনের জন্য ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৬-২৭ অগস্ট জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে তা অনুষ্ঠিত হয়। ন্যাশনাল মিট স্কোরের ভিত্তিতে রাজ্যের ৬ জন ট্রায়ালে অংশ নেয়। সেই তালিকাতেই ছিল নবদ্বীপ তারাসুন্দরী স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী রায়না মজুমদার এবং নবদ্বীপ হিন্দুস্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র অঙ্কুশ কর্মকার। ১৩তম জুনিয়র ও সিনিয়র আক্রোব্যাটিক্স জিমনাস্টিক্স এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের হয়ে মিক্সড পেয়ার ইভেন্টে সুযোগ পেয়েছে।
আগামী ১৮ থেকে ২০ অক্টোবর উজবেকিস্তানের তাসখন্দে এই চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হবে। এই এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবে চিন, কোরিয়া, জাপান, হংকং, তাইওয়ান সহ এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশ। আগামী ১৫ অক্টোবর এই দুই প্রতিযোগীর রওনা হওয়ার কথা। কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গেলে যাতায়াত সহ বিভিন্নভাবে মাথাপিছু প্রায় দেড় লক্ষ টাকা করে খরচ হবে। রাইনা এবং অঙ্কুশ প্রত্যেকেরই পরিবার আর্থিকভাবে দুর্বল। অর্থ জোগাড় করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে দুই পরিবারের অভিভাবকরা। তাই শেষ পর্যন্ত এই দুই প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না, সেই প্রশ্ন ঝুলেই রয়েছে। তবে অর্থ সংগ্রহের চিন্তা মাথায় থাকলেও অনুশীলন থেমে নেই।
রাইনার মা নন্দিতা মজুমদার রাহা বলেন, “১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মহীশূরে ক্যাম্প চলবে। আমাদের দুটি পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। আমার স্বামী সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন। অঙ্কুশের বাবা সেলাই মেশিন সারানোর কাজ করেন। এই কম্পিটিশনে গেলে মাথাপিছু এক একজনের দেড় লক্ষ টাকা প্রয়োজন। যদি কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, ভালো হয়”।
নবদ্বীপ শক্তি সমিতি ক্রিয়েটিভ জিমন্যাস্টিক্স অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষক বিশ্বরূপ সরকার বলেন, “ওরা দু’জনেই এখানে অনুশীলন করে। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে যেতে গেলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সরকার যদি সাহায্য করে, তাহলেই ওরা যেতে পারবে এবং রাজ্য তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করবে”। নবদ্বীপ পৌরসভার পক্ষ থেকে দুই প্রতিযোগিকে মোট ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। দুই প্রতিযোগির পরিবার আশাবাদী শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী যদি এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ানশিপের অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেবেন তাদের সন্তানদের। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রীর দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।