নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: দক্ষিণবঙ্গে নিম্নচাপের বৃষ্টির পাট মিটলেও উত্তরবঙ্গে সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। ক্রমেই তা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আকার নেবে। তার পর তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই উত্তরের লক্ষ্মীপুজোয় এবার কাটা হয়ে উঠেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
সোমবার রাত থেকেই জলপাইগুড়িতে শুরু হয়েছিল ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। মঙ্গলবার বেলা বাড়তেই শুরু হয়েছে মুষলধারায় বৃষ্টি। পাহাড়েও অবিরাম বৃষ্টি। তবে এই বৃষ্টিপাতের ফলে গত কয়েকদিন ধরে অসহ্য গরম থেকে রেহাই পেয়েছে মানুষ। কিন্তু বিপাকে পড়েছেন লক্ষ্মীপুজোর বাজারের ক্রেতা থেকে বিক্রেতারা। বাজারের বিভিন্ন দোকানে প্লাস্টিকের মোড়কে আটকে রয়েছেন লক্ষ্মীপ্রতিমা। বাজার প্রায় ফাঁকা। যে কয়েকজন ক্রেতা আসছেন, তারা ভিজে ভিজেই সেরে নিচ্ছেন কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর বাজার। স্বাভাবিকভাবেই ব্যপক ক্ষতির সম্ভবনার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপটি বর্তমানে বিহারের উপর অবস্থান করছে। ফলে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও বাড়বে উত্তরে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গজুড়ে প্রায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। সেচ দফতরের কন্ট্রোলরুম সুত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ে বৃষ্টিপাতের জন্য তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমান বেড়েছে। মঙ্গলবার গাজলডোবা থেকে মোটা ২ হাজার ৯১৩ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তিস্তায় জলস্ফীতির সম্ভাবনা।