নিজস্ব প্রতিনিধি: আলিয়া-কাণ্ড নিয়ে পুলিশের ভুমিকার প্রশংসা করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে বিশ্বভারতীতে উগ্র ছাত্র আন্দোলন দমাতে রাজ্য পুলিশ একই রকমের ভূমিকা পালন করবে বলেও আশাপ্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার সরকারিভাবে এক বিবৃতি প্রকাশ করেই নিজেদের এমন মনোভাবের কথা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থানুকুল্যে চলা বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ। যদিও বিশ্বভারতীর এমন বিবৃতি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলি।
এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে আলিয়া-কাণ্ড নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করেছে।’ পাশাপাশি বিশ্বভারতীতে গত কয়েক মাস ধরে যা ঘটছে তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যকে গ্রেফতার করা কেন হয়নি, পরোক্ষে তা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সমালোচনা করলেও এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দোপাধ্যায় এক বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলিকে হেনস্থা করার পর ছাত্র-নেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে জানাই অভিনন্দন। আমাদের বিশ্বাস, রাজ্য সরকার ছাত্র-তাণ্ডব দমন করে রাজ্যের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলিতে নজর দেবে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয় চান না যে, রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি গুন্ডামির আখড়া হিসেবে তৈরি হোক। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের ভূমিকা দেখে আমরা কি আশা করতে পারি যে, বিশ্বভারতী আর দুয়োরানি থাকবে না। রাজ্য সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন একই ভাবে ব্যবস্থা নেবে যখন যে কোনও ধরনের তাণ্ডব বিশ্বভারতীকে গ্রাস করবে।’