নিজস্ব প্রতিনিধি: অতিবৃষ্টির পর রাজ্যে দ্রুত এসেছে শীতের আমেজ। মৌসুমি বায়ুর চলে যাওয়ার পরই পিছু পিছু হাজির হয়েছে উত্তুরে হাওয়া। একধাক্কায় নেমে গিয়েছে পারদ। কিন্তু এটাকে শীত বলতে রাজি নয় হাওয়া অফিস। বরং শীতের আমেজ বলেই চালাচ্ছে হাওয়া অফিস। তবে শীত আসতে বেশি দেরী নেই বলেই রবিবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে বাংলায় জাঁকিয়ে শীত পড়বে। ততদিন এইভাবে শীতের আমেজ বজায় থাকবে বঙ্গে। চলতি বছরে শীতের ব্যাটিং চলবে দীর্ঘদিন আর জাঁকিয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি বলেই জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস।
এমনিতেই উত্তুরে হাওয়া বইছে রাজ্যের উপর দিয়ে। শীত শীত অনুভূত হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা ও শহরে। সকালে রোদ ঝলমলে আকাশ। আর তার সঙ্গেই সূর্য ডুবলে কুয়াশা ও শীতের আমেজ। শনিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি কম। অর্থাৎ দোরগোড়ায় এসে গিয়েছে শীত। হাওয়া অফিসের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, নভেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে এতটা পারদ-পতন কলকাতায় শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালে। তার আগে ২০০৫ সালে। অর্থাৎ চলতি বছরে শীতের দাপট থাকবে এটা বলাই যায়।
তবে কিছুদিন বঙ্গে শীতের আমেজ উধাও হবে, কারণ বঙ্গোপসাগরে ফের ঘনীভূত হয়েছে নিম্নচাপ। যা তামিলনাড়ু ও দক্ষিণের এলাকাগুলিতে প্রবল বৃষ্টি দেবে কিছুদিন। এই বিষয়ে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ‘আগামী পাঁচ দিন রাজ্যে স্বস্তিদায়ক আবহাওয়া থাকবে। রোদ ঝলমলেই থাকবে আকাশ। আগামী ৯ নভেম্বর তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী এলাকায় নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। যার প্রভাব দক্ষিণ ভারতেই পড়বে মূলত। তবে ১১ নভেম্বর থেকে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকবে। যার ফলে ঠান্ডা কিছুটা কমতে পারে। ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে।’