নিজস্ব প্রতিনিধি: কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল(TMC) প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে রবি দুপুরে কালিগঞ্জে একটি জনসভা করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। সেই সভা থেকে তিনি নিশানা বানান মোদি সরকার(Modi Government) ও বিজেপিকে। কে কী খাবে, কী পরবে, তা নিয়ে যেভাবে বিজেপি(BJP) আর মোদি সরকার দেশজুড়ে খবরদারি করা শুরু করে দিয়েছে তার বিরুদ্ধে এদিন সরব হয়েছেন অভিষেক। একই সঙ্গে যেভাবে বিজেপি বাংলা ও বাঙালির বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়েছে তার যোগ্য জবাবও দিতে বলেন অভিষেক। এদিনের সভা থেকে তিনি বলেন, ‘একটা রাজনৈতিক দল ভোট চাইতে যাবে! আমি কী খাব, রুই নাকি কাতলা, বেগুন নাকি কপি খাব, কেন ঠিক করবে মোদি সরকার। এই দলকে উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত কি না! যাঁরা আপনার ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকেছেন, আপনার নির্বাচিত প্রার্থীর পদ কেড়েছেন, তাঁদের উচিত শিক্ষা দেবেন কি না! প্রধানমন্ত্রী বলছেন, যাঁরা মাছ খান, হিন্দু-বিরোধী। দেশ-বিরোধী। কারা মাছ খান, হাত তুলুন। আমি এখন দু’বার খাই মাছ। বাংলার সংস্কৃতি জানে না। আপনাদের হাত তোলার ছবি প্রকাশিত হোক। সকলে দেখুন। বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলার(Bengal) আর বাঙালির সব অধিকার কেড়ে নেবে।’
এর পাশাপাশি অভিষেক বলেন, ‘১০ বছর আগে যা দাম ছিল আর এখন যা দাম তা কী এক? এদের বিতাড়ন না করলে এরা মানুষকে এভাবেই শোষণ করে যাবে। আর মানুষের ভোট যখন পাচ্ছে না, যখন বুঝছে, তখন টাকা দিয়ে ভোট কিনছে। আপনাদের কাছেও যাবে। বিজেপি ভোট কিনতে আপনাকে টাকা দিলে নিয়ে নেবেন। এটা আপনাদের টাকা। ৫০০ দিলে ২০০০ টাকা চাইবেন। এটা বাংলার মানুষের টাকা। নিয়ে নেবেন। ১০০ দিনের টাকা চেয়েছিলেন, সাড়া দেননি প্রধানমন্ত্রী। রাস্তা, আবাস, বিদ্যুৎ, বার্ধক্য ভাতার টাকা দেয়নি। যে লক্ষ্মীর ভান্ডার পান, তাতে বিজেপির অবদান নেই। যে ভাষা ওরা বোঝে, তাতেই জবাব দিন। রানাঘাট, কল্যাণী, চাকদহে হেরেছি। কিন্তু দেখান তো, কারও লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বন্ধ করেছি? ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ২৮১ জন শ্রমিকের টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে দিয়েছেন জানুয়ারিতে। এঁরা সকলে নদিয়ার। নদিয়ায় ১২ লক্ষ ৯৯ হাজার ২৩৩ জন প্রতি মাসে লক্ষ্মীর ভান্ডার পান। নদিয়ায় ১৮ লক্ষের বেশি বোন কন্যাশ্রী পেয়েছেন। ৫২ লক্ষ ৪১ হাজার ৫৫২ জনকে তৃণমূলের সরকার কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। সংখ্যালঘুদের ২৭ লক্ষ ২ হাজার ৭২৮ জন সংখ্যালঘুকে আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন। আমরা রাস্তায় নেমে এলাকা অশান্ত করার রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনি। রক্তদান করেছি, নিইনি। এটা রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণের বাংলা। এই বাংলা ভেদাভেদের রাজনীতিককে ঢুকতে দেয়নি। এরা বাংলার মানুষের দুঃখ, কষ্ট জানে না। তাই এদেরকেও ভোট দেবেন না।’