নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি শোভন ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিতি পাওয়ার আগে পরিচিত ছিলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ হিসাবেই। সেই পার্থ’র সঙ্গেই তাঁর দূরত্ব বেড়ে গিয়েছিল বহুগুণ শোভনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদেই। এখন তিনি শোভন ঘরনি। পার্থ(Partha Chattopadhay) বেকায়দায় পড়তেই এবার তাঁকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়(Baishakhi Banerjee)। সাফ জানালেন, ‘পার্থদার এই পতনের পিছনে ওর অহংবোধ রয়েছে। উনি বলতেন শিক্ষা দফতরটা নাকি হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটের(Harish Mukherjee Street) বদলে নাকতলা থেকে চলবে। এই পার্থদাকে অচেনা লাগছে। অর্থের জন্য উনি নিজে আমাকে রাজনীতি করতে মানা করেছিলেন। দুর্নীতি বন্ধ করার ব্যাপারে ওকে বার বার বলেছিলাম। কিন্তু উনি শোনেননি। বরং দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিদেরই পুরস্কৃত করেছিলেন।’
জানা গিয়েছে, বৈশাখীর সঙ্গে পার্থর একসময় বেশ ভালই যোগাযোগ ও ঘনিষ্ঠতা ছিল। কিন্তু আল আমিন কলেজ থেকে বৈশাখীর অপসারনের পর থেকেই সেই ঘনিষ্ঠতায় দূরত্ব তৈরি হয়। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের(Sovon Chatterjee) সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব যত বেড়েছে ততই পার্থ ও বৈশাখীরও দূরত্ব বেড়েছে বলেই এখন শোনা যাচ্ছে। তবে ইদানিংকালে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব কমেছে শোভনের। অনেকেই মনে করছেন শুধু শোভন নয়, বৈশাখীরও দ্রুত তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটবে। ঘটনাচক্রে দুইজনকেই এবারের একুশে জুলাইয়ের সভায় দেখা গিয়েছিল। এই অবস্থায় পার্থকাণ্ডে রাজ্যের শাসক দল যখন কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে তখন পার্থ’র বিরুদ্ধে কার্যত বোমা ফাটিয়ে দিলেন বৈশাখী। তাঁর বক্তব্যই বলে দিচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত ইন্ধনে শিক্ষা দফতরে বেআইনি নিয়োগের ক্ষেত্রে যে ঘুঘুর বাসা বেঁধে উঠেছে সেটা আগাগোরাই জানতেন বৈশাখী নিজেও। তবে তিনি যেভাবে হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন তাতে শাসক শিবিরে অসন্তোষ ছড়িয়েছে।