নিজস্ব প্রতিনিধি: কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদের (CP) প্রতিষ্ঠা দিবস আজ। আর সেই প্রতিষ্ঠা দিবসেই চোখে পড়ল চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। কলকাতার মহাজাতি সদনে রণমূর্তি ধারণ করলেন যুব কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। তাঁর নিশানায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে তীব্র আপত্তি প্রকাশ করেন কৌস্তভ। তাঁর আপত্তি তৃণমূলের সঙ্গে দলের সমঝোতা নিয়েও।
কৌস্তবের আক্রমণাত্মক ভঙ্গির পরে বাম ও কংগ্রেস জোটের দায় কেন্দ্র চাপাল প্রদেশ কংগ্রেসের ওপরেই। আর এই বিশৃঙ্খলার জেরে অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন ছাত্র এবং যুব সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্য।
ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতায় এবারে আমন্ত্রিত ছিলেন কেন্দ্রের দু’ই নেতা শরৎ রাউত এবং রোশনলাল বিট্টু। প্রদেশ সংগঠনের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক শরৎ। ছাত্র সংগঠনের সদস্য রোশনলাল। কংগ্রেসেই গুঞ্জন শোনা যায়, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক রয়েছে শরতের। সেই অধীর ঘনিষ্ঠ নেতা কৌস্তভ। এদিন কেন্দ্রের নেতাদের সামনেই কার্যত হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, তিনি সেই কৌস্তভ বাগচী যিনি চিদম্বরমকে আটকে ছিলেন। এরপর আরও গলা চড়িয়ে কৌস্তুভের হুঁশিয়ারি, তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা হলে বিমানবন্দরে দিল্লির কোনও নেতাকে তিনি নামতে দেবেন না। আর এই কথা বলেই নিজের ঘনিষ্ঠ মহল নিয়ে মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যান কৌস্তভ। এরপরে শরৎ রাউত বলেন, তিনি চান না সিপিএম বা তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হোক। আর তারপরেই জোটের দায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর থেকে সরিয়ে তিনি ঠেলে দেন প্রদেশ কংগ্রেসের ওপরেই। বলেন, জোটের দাবি আসে নিচুস্তর থেকে। নিজেদের স্বার্থে কেউ কেউ জোট করতে চায়। সেই জোট কিন্তু কেন্দ্র বা রাহুল গান্ধি চান না। আরও বলেন, সিপিএম জোট করতে এসে দাদা হতে চাইছে। তাঁর দাবি, এই জোটের কারণেই ২০১৯ সালে কংগ্রেসের ভোট কমে গিয়েছিল। এদিন অনুষ্ঠানের শেষে ছাত্র পরিষদ আগামী কর্মসূচি হিসেবে জমায়েতের ডাক দিয়েছে। সূত্রের খবর, সেই কর্মসূচি হতে পারে ডিসেম্বরে।
উল্লেখ্য, এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন। সূত্রের খবর, এদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি রাজ্যসভার সাংসদ ও বর্ষীয়ান নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যকে। তিনি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে? দলের অন্দরে গুঞ্জন এমনটাই।