আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের সময়েই চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের (Xi Jinping) সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। আর ওই বৈঠকের কিছুদিন বাদেই ইউক্রেনের (Ukraine) বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান (Military Operation) শুরু করেছিল রুশ সেনা (Russian Army)। ফের একবার মুখোমুখি বৈঠকে বসছেন কট্টর মার্কিন বিরোধী হিসেবে পরিচিত দুই দেশের শীর্ষ নেতা। আগামী সপ্তাহে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সামিটে (Shanghai Cooperation Organization summit) মুখোমুখি হবেন তাঁরা। বুধবার চিনে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আন্দ্রি দেনিসোভ সংবাদমাধ্যমকে পুতিন-চিনফিংয়ের বৈঠকের বিষয়টি জানান।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথমবার করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরে বিদেশ সফর স্থগিত রেখেছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। মূলত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন ও বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ পৌনে তিন বছর বাদে প্রথম বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। যদিও সাংহাই কোঅপারেশন সামিটে পুতিনের পাশাপাশি অন্য দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্টের বৈঠকের কোনও কর্মসূচি নেই।
তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের ঠাণ্ডা লড়াই তুঙ্গে উঠেছে। আর সেই লড়াইয়ের মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শি চিনফিংয়ের বৈঠককে যথেষ্টই গুরুত্ব সহকারে দেখছেন কূটনীতিবিদরা। তাঁদের মতে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পরে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলির পক্ষ থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার মোকাবিলা করা নিয়ে দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে যেমন আলোচনা হবে, তেমনই তাইওয়ান ইস্যুতে বেজিংয়ের পাশে যে মস্কো থাকবে, সেই আশ্বাসও দেবেন পুতিন।