নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: অধিনায়ক লোকেশ রাহুল আর দীপক হুডার অনবদ্য ব্যাটিংয়ের সুবাদে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে বড় রানের ইনিংস গড়ল লখনউ সুপার জায়ান্টস। শনিবার রাতে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান তুলল লখনউ। শেষের ওভারে সন্দীপ শর্মা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করায় ২০০ রানের গণ্ডি পেরোতে পারেননি রাহুলরা।
এদিন টসে জিতে প্রথমে লখনউকে ব্যাট করতে পাঠান রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। আর ব্যাট করতে নেমে ঘরের মাঠে শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে লখনউ। ট্রেন্ট বোল্টের বলে প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন কুইন্টন ডি’কক (৮)। পরের ওভারে শূন্য রানে ফিরে যান মার্কাস স্টোইনিস। ১১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ত্রাহি-ত্রাহি রব ওঠে লখনউ শিবিরে। তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে সেই বিপর্যয় সামাল দেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও দীপক হুডা। দুজনে ঠাণ্ডা মাথায় দেখেশুনে খেলতে থাকেন। সেই সঙ্গে মারা বল পেলেই তা পত্রপাঠ মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। মাত্র ৩১ বলে ৬টি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন লখনউ অধিনায়ক। পাশাপাশি দীপক হুডা সাতটি চারের সাহায্যে ৩০ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছে যান। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চাপে পড়ে যায় রাজস্থান শিবির।
শেষ পর্যন্ত ১৩তম ওভারে বল করতে এসে দীপককে ফিরিয়ে ১১৫ রানের জুটি ভাঙেন রাস্থানের অভিজ্ঞ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। হুডা ফেরার পরে রান ওঠার গতি খানিটা শ্লথ হয়ে যান। চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে লোকেশ রাহুল ও নিকোলাস পুরান দলকে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন। যদিও পুরানকে বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে দেননি সন্দীপ শর্মা। ১১ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ক্যারিবীয় ব্যাটার। এর পরে আয়ুষ বাদোনিকে সঙ্গে নিয়ে দলকে বড় রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান লখনউ অধিনায়ক। এক সময়ে মনে হচ্ছিল, এদিন হয়তো শতরান করার লক্ষ্য নিয়েই নেমেছেন রাহুল। যদিও শতরান করা হয়নি তাঁর। ১৮ তম ওভারে আবেশ খানের বলে সাজঘরে ফেরেন লখনউ অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে করে যান ৪৮ বলে ৭৬ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯৬ রান তোলে লখনউ। আয়ুষ বাদোনি ১৮ ও ক্রুণাল পাণ্ড্য ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।