নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল মোদি সরকার। কিন্তু লোকসভা ভোটের মধ্যেই সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে প্রায় লক্ষাধিক টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিল ক্রেতা সুরক্ষা এবং খাদ্য ও গণ সরবরাহ মন্ত্রক। বাংলাদেশ, বাহরাইন-সহ ছয়টি দেশে ওই বিপুল সংখ্যক পেঁয়াজ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ওই বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ রফতানির অনুমোদন দেওয়ায় খোলাবাজারে দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২৩-২৪ সালের খরিফ মরসুমে পেঁয়াজ উৎপাদন তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র। বাংলাদেশ-সহ একাধিক দেশের তরফে রমজান মাসে পেঁয়াজ রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য আর্জি জানানো হয়েছিল। যদিও তাতে কর্ণপাত করেনি মোদি সরকার। কিন্তু আচমকাই কেন পেঁয়াজ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হল, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
ক্রেতা সুরক্ষা ও খাদ্য-সরবরাহ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কায় ৯৯ হাজার ৫০০ টন পেঁযাজ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পেঁয়াজ উৎপাদনে শীর্ষে থাকা মহারাষ্ট্র থেকেই ওই বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ রফতানি করা হবে। রফতানির ক্ষেত্রে মূল সংস্থা হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে ন্যাশনাল কো–অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড। স্থানীয় উৎপাদকের কাছ থেকে সংস্থাটি পেঁয়াজ কিনবে। পেঁয়াজের দাম আগাম পরিশোধ করতে হবে আমদানিকারক দেশগুলিকে। কোন দেশকে কত পরিমাণ পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে তা পরে ঠিক হবে। লাল পেঁয়াজের সঙ্গে ২ হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রফতানিরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’