নিজস্ব প্রতিনিধি, কার্গিল: ব্যক্তি দুইজন। ২১ বছর আগে দুইয়ের পরিচয় ছিল দুইরকম। ২১ বছর পরে তাদের পরিচয় বদলে গিযেছে। এই দুইয়ের মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয়জন মেজর। ২১ বছর আগে নরেন্দ্র মোদি তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। আর এই মেজর তখন সেনাস্কুলের পড়ুয়া। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদি সেই সেনাস্কুলে গিয়েছিলেন। মোদির হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন আজকের সেই মেজর। তোলেন ছবি।
২১ বছর বাদে আবার সেই মোদির সঙ্গে দেখা হল পডুয়ার। তিনি এখন মেজর। দেখা হল কার্গিলে। আর সেদিনের মুখ্যমন্ত্রী আজ প্রধানমন্ত্রী। মোদিকে দেখে তিনি পকেট থেকে বের করে দেখান ২১ বছর আগের সেই ছবি। ছবি দেখে প্রধানমন্ত্রীও আবেগে ভাসলেন। সাক্ষী রইল সেনার বাকি সদস্য। পাঠকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক এই মেজরের সঙ্গে।
মেজরের নাম অমিত কুমার। গুজরাতের জামনগর জেলার সৈনিক স্কুলের প্রাক্তনী। ২০০১ সালে জামনগরের সৈনিকস্কুলে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। মোদি সেই সময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। অমিতকে তিনি পুরস্কৃত করেন। ২১ বছর বাদে সেই পডুয়ার সঙ্গে দেখা হওয়ায় দুইজনেই আবেগে ভাসলেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন কার্গিল যান। প্রধানমন্ত্রী আসবেন বলে সেজে উঠেছিল সেনা শিবির। বাহিনীর অফিসার থেকে জওয়ান-সকলেই ছিলেন উৎসবের মেজাজে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন। প্রশংসা করেন বাহিনীর। বাহিনীর উদ্দেশ্যে দেওয়া বার্তায় মোদি বলেন, স্বার্থত্যাগ করে সেনাবাহিনী দেশরক্ষা করে চলেছে। তাদের সতর্ক চোখের কারণে বড় ধরনের নাশকতা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। দেশরক্ষা করতে গিয়ে অনেকে তাদের জীবনকে আত্মাহুতি দিয়েছেন। প্রত্যেকের অবদান দেশবাসী স্মরণ করে।