নিজস্ব প্রতিনিধি: দিন দুয়েক আগেই ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই তাঁর জীবনের উপর দিয়ে রীতিমতো ঝড় বয়েই চলেছে।
সবেমাত্র মাস কয়েক আগেই ফুসফুস ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু তার মধ্যেই গত মঙ্গলবার রাতে আচমকাই ব্রেক স্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি।
তড়িঘড়ি তাঁকে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই মুহূর্ত হাসপাতাল সূত্রের খবর ছিল, তাঁর মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। কোমায় আচ্ছন্ন তিনি। চিকিৎসকের কথায়, ৪৮ ঘন্টা না পেরোলে কিছুই বলা সম্ভব নয়। তবে দেখতে দেখতে ৭২ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। গতকাল রাতে রাতে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল যে, অভিনেত্রীর শারীরিক পরিস্থিতির এখনও শঙ্কা মুক্ত নয়, আশঙ্কাজনক। আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকালেও একই পরিস্থিতি তাঁর। ঘনিষ্ঠসূত্রে খবর, এখনও জ্ঞান ফেরেনি। কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে অভিনেত্রীকে।
বিপদ এখনো কাটেনি। অভিনেত্রীর এহেন শারীরিক পরিস্থিতিতে আতঙ্কে তাঁর প্রেমিক অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী, তাঁর পরিবার থেকে শুরু করে গোটা টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার রাতে ঐন্দ্রিলার রক্তচাপ ছিল ১১০/৭০ আর পালস্ রেট প্রতি মিনিটে হচ্ছে ১১২। অস্ত্রোপচারের পর নিউরো আইসিইউতে রাখা হয়েছে। ঐন্দ্রিলার পাশে সর্বক্ষণ রয়েছেন তাঁর প্রেমিক সব্যসাচী।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে যেহেতু রাখা হয়েছে অভিনেত্রীকে, সেই কারণেই চিকিৎসক ছাড়া তাঁর কাছে আর কারও প্রবেশ নিষেধ। বুধবার জানা গিয়েছিল, অভিনেত্রীর শরীরের এক দিক পুরো অসাড়। বাঁ হাত সামান্য নাড়াচাড়া করছেন তিনি। তবে চিকিৎসকরা আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, তাঁর তাঁর বয়সটা যেহেতু কম, তাই ঝুঁকি কিছুটা হলেও কম। গত বছরেই ফুসফুসের ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
দিল্লিতে চলেছে তাঁর চিকিৎসা, জীবনের এই কঠিন যুদ্ধে হার মানেন নি নায়িকা। ক্যামো থেরাপিতে চুলও উঠে গিয়েছিল তাঁর। নিজের এই কঠিন লড়াইয়ের বিষয়ে যাবতীয় অভিজ্ঞতা ‘দিদি নং ওয়ান’-এর মঞ্চে শেয়ার করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি ‘ভাগাড়’ সিরিজ়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রেও দেখা গিয়েছিল ঐন্দ্রিলাকে। স্টুডিও সূত্রের খবর, এ মাসে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রীর। এমনকি গোয়াতেও শ্যুটিংয়ের জন্যে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার মধ্যেই এই বিপত্তি। অভিনেত্রীর জন্যে প্রার্থনা গোটা বাংলার, আপাতত তাঁর সুস্থতার অপেক্ষায় সবাই।