এই মুহূর্তে




‘আপনি মন্দিরে থাকুন, পুজো করব’, মোদিকে জগন্নাথ খোঁচা মমতার

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১ জুন দেশে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) শেষ তথা সপ্তম দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন দেশের ৫৭টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে। ওই দফাতেই বাংলার ৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। তার মধ্যে থাকছে বারসাত ও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রও। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার এই দুই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে দুটি জনসভা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই দুই সভা থেকেই তিনি নিশানা বানান দেশের প্রধানমন্ত্রী তথা চলতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির মুখ নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi)। তবে এদিন সেই সব আক্রমণের মধ্যে নজর টেনেছে মোদিকে জগন্নাথ(Lord Jagannath) প্রসঙ্গে কটাক্ষ হেনে করা আক্রমণকে।

এদিন মমতা বারাসতের সভা থেকে মোদিকে নিশানা বানিয়ে বলেন, ‘অনেক সময় আমরাও বুঝতে পারি না ফল কী হবে। মানুষ ঠিক করে ফেলেছে। তা না হলে কেউ বলে, জগন্নাথ দেবও নাকি ওর ভক্ত। বুঝুন, ভগবানের থেকেও বড়। তা ভগবানের থেকে বড় হলে আপনি মন্দিরে থাকুন, পুজো করব। যা ইচ্ছা তা-ই করছে, বলছে। মুখে লাগাম নেই। কুৎসা, মিথ্যাকথা। সন্দেশখালি নিয়ে আবার মিথ্যে কথা বলে গেলেন। আবার প্ল্যান করেছে। দাঙ্গা করার প্ল্যান নম্বর বি। সন্দেশখালি হল না বলে, আবার নাকি বাবুরা যাচ্ছেন। ওরা যাওয়া মানেই তো, কি প্ল্যান করবে। আবার তো দাঙ্গা লাগানোর প্ল্যান করছে। আমরা করতে দেব না। যে লাগাবে, তাঁকে ছাড়ব না। মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার, থান, আমি ভেদাভেদ করি না। ওরা বলে হিন্দুধর্মে বিশ্বাস করি না। আমি জানি আমার নাম কে দিয়েছিল। পদবি কে দিয়েছিল। ভাগ্যিস হিন্দু ছিলাম। নয়তো বলত বিদেশ থেকে এসেছে। এনআরসি করে দিত। আমি কখনও বলি না, কিন্তু আমিও হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে। মনে রাখবেন। কিন্তু পরিচয় দিই না। কারণ বিজেপির থেকে সার্টিফিকেট নেব না, যে আমি হিন্দু না মুসলিম। আমি মানুষ।’

এর পাশাপাশি মমতা এদিন স্বামী বিকেকানন্দ ও ভগিনী নিবেদিতার বাড়ির প্রসঙ্গও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি বিক্রি হয়ে যাচ্ছিল। আমার কাছে খবর এসেছিল। আপনাদের জেলার মানুষ সুব্রত মৈত্র। এক দিন মধ্যরাতে ফোন। বললেন, কতগুলো লোক এসে বাড়ি দখল করছে। এক দিনে আমি পুরসভাকে দিয়ে ওই বাড়ি কিনিয়ে দিয়েছিলাম। কারণ তখন আমাদের পুরসভা ছিল রাজ্য সরকারের টাকায়। ‘ভগিনী নিবেদিতার বাড়ি দখল হয়ে গিয়েছিল বাগবাজারে। আমি নিজে দু’বার গেছি। রাজ্য সরকারের টাকা দিয়ে, পুরসভার টাকা দিয়ে কিনিয়ে দিয়েছি। দার্জিলিঙে যেখানে নিবেদিতা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মিটিং ডাকি। বিমল গুরুং ছিলেন জিটিএতে। ওকে বলি অন্য বাড়ি নাও। ওটা হবে না। এই জেলায় হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে ছুটি দিয়েছি। বড়মাকে সম্মান করতাম। থাকলে যেতাম। গাইঘাটা ব্লকে কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর তোরণ করা হয়েছে। এই জেলায় অনুকূল ঠাকুরের তীর্থস্থান রয়েছে। মধ্যমগ্রামে অনুকূল ঠাকুরের আশ্রমের জন্য ৫ একর জমি দেওয়া হয়েছে। বিনামূল্যে। যাতে সেটা ভাল করে হয়ে যায়। লোকনাথ বাবার চাকলা ধাম, সেখানেও অনেক টাকা খরচ করা হয়েছে। কচুয়া ভাল ভাবে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক আমরা করেছি। যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, বেলুড়, দক্ষিণেশ্বরে টিকিট কেন্দ্র সেখানকার মতোই করেছি। তারামায়ের মন্দির সুন্দর তৈরি হয়েছে। সতীপীঠ, কঙ্কালীতলা, কী তৈরি হয়নি বলুন তো? মাজের থান থেকে ইমামবরা, সবই করেছি।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

চন্দননগর নয়, তবে কোথা থেকে হয়েছে বাংলার জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা ?

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে শান্তিপুরের রাস মেলা উপলক্ষে ৬৩ টি রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু

স্থানীয়দের নিয়োগের দাবিতে ফের কল্যাণী এইমসের সামনে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর

২৫ নভেম্বরের আগে কলকাতায় শীত দূর অস্ত, জানাল আবহাওয়া অফিস

মালদায় প্রশাসনের স্পষ্ট নির্দেশ জলের মধ্যে করা যাবে না ছট পুজোর মঞ্চ

প্রয়াত হলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সহপাঠী, বারাসত পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর