নিজস্ব প্রতিনিধি: দুটি পৃথক পৃথক ঘটনা। দুজন সম্পূর্ণ একে অপরের অপরিচিত। দুইজনই সম্পূর্ণ ভিন ভিন দিনে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁরা জীবিত না মৃত তা আজও জানা যায়নি। কিন্তু এবার তাঁদের নিখোঁজ রহস্যের সন্ধানেই মাঠে নেমে পড়ল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই(CBI)। একজনের নাম তৃষিত বিশ্বাস(Trishit Bishwas), অপরজনের নাম সন্তু ভট্টাচার্য(Santu Bhattacharya)। কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) নির্দেশে এদের নিখোঁজ রহস্যের তদন্তে মাঠে নামছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার নিয়ে সিবিআই এফআইআর দায়েরও করেছে। দুইজনের পরিবারকেই সিবিআইয়ের তরফে চিঠি দিয়ে তদন্তভার গ্রহণের কথা জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন রাজ্যে স্কুল শিক্ষা উন্নয়ন খাতে ২৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র
কে এই তৃষিত বিশ্বাস ও সন্তু ভট্টাচার্য? তৃষিত কলকাতার ছেলে। বাড়ি নিউ আলিপুরে। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর সে হুট করেই নিখোঁজ হয়ে যায়। বাড়িব থেকে বেড়িয়ে আর ফিরে আসেনি। সেই সময় সে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিল। সেই নিখোঁজের জেরে নিউ আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃষিতের বাবা তারকেশ্বর বিশ্বাস। কিন্তু পুলিশ সেই ঘটনার কোনও সুরাহা করতে পারেনি। তার জেরে আদালতে মামলা দায়ের করেন তৃষিতের বাবা। সেই মামলায় আদালত তদন্তের দায়ভার পুলিশের হাত থেকে নিয়ে সিআইডি’র হাতে দেয়। কিন্তু রাজ্যের এই গোয়েন্দা বাহিনীও তৃষিতের নিখোঁজকাণ্ডে কোনও সুরাহা করতে পারেনি। তার জেরে আবারও তারকেশ্বরবাবু আদালতের দ্বারস্থ হন। মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার জেরেই গত ২৮ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই-কে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেয়,। ওই নির্দেশের পরে চলতি সপ্তাহেই সিবিআই চিঠি পাঠায় তারকেশ্বরবাবুকে। জানায় তাঁরা এই ঘটনার তদন্তভার নিজেদের হাতে নিয়েছে। তদন্ত শুরুও করেছে। শুক্রবারই তারকেশ্বরবাবু সেই চিঠি হাতে পেয়েছেন। এবার তাঁর একমাত্র আশা ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ তাঁর ছেলের হদিশ দিক সিবিআই। অন্তত সে মৃত না জীবিত সেটুকুও জানাক।
আরও পড়ুন মোদির অটল পেনশন যোজনায় ভরসা মমতার বাংলার, নেপথ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার
অন্যদিকে, সন্তু ভট্টাচার্য নিখোঁজ হয়ে যায় ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই। নদিয়া জেলার কল্যাণীতে থাকে সন্তুর বাবা-মা। মাত্র ১৬ বছর বয়সে সে নিখোঁজ হয়। ঘটনার দিন বাড়ি থেকে সে বেড়িয়েছিল পড়তে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আর সে বাড়ি ফিরে আসেনি। কোথায় গেল, কার সঙ্গে গেল, কেনই বা গেল, সেই উত্তর আজও খুঁজে চলেছে তার পরিবার। পুলিশ তার উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় কোনও সুরাহা করতে পারেনি। তাই সন্তুর বাড়ির লোকেরা চেয়েছিল উচ্চপর্যায়ের তদন্ত যা কলকাতা হাইকোর্ট মঞ্জুর করেছে। আদালতের নির্দেশেই সন্তুর অন্তর্ধান রহস্যের তদন্তে নেমেছে সিবিআই।