নিজস্ব প্রতিনিধি, আমদাবাদ: ছুটির দিন দুপুরেই মধ্যাহ্ন বিরতির পরে দীর্ঘ ৩৯ মাসের অপেক্ষা শেষে টেস্টে শতরান পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। আর তার পরে যেভাবে বীরবিক্রমে ব্যাট করছিলেন তাতে সবাই আশায় ছিলেন, ৩৯ মাসের অপেক্ষার শেষে আসবে চোখধাঁধানো ডাবল সেঞ্চুরি। কিন্তু রবিবারের পড়ন্ত বিকেলে বিরাট ভক্তদের সেই আশা পূরণ হলো না। ক্রিজের উল্টোদিকে একের পর এক সতীর্থের আসা-যাওয়া দেখে ধৈর্যচ্যুতি ঘটল প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের। শেষ পর্যন্ত টড মরফির বলে মার্নুস লাবুসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৮৬ রানে ফিরলেন সাজঘরে। আর সেই সঙ্গে প্রথম ইনিংসে ৫৭১ রানে গুটিয়ে গেল ভারতের ইনিংস। অর্থাৎ অজিদের তুলনায় প্রথম ইনিংসে ৯১ রানে এগিয়ে থাকল রোহিত বাহিনী।
এদিন সকালে রবীন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গে করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুদায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক। কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির আগে জাদেজাকে ফিরিয়ে ভারতীয় শিবিরে আঘাত হানেন টড মরফি। পঞ্চম উইকেটে ভরত শ্রীকরের সঙ্গে জুটি বেঁধে অজি বোলারদের আক্রমণকে নির্বিষ করে দেন বিরাট। ১২০৫ দিন বাদে টেস্ট ক্রিকেটে শতরানও করে ফেলেন। আর ২৮তম শতরানের পরে আর পিছনে ফিরে তাকাননি। বীরবিক্রমে খেলতে থাকেন। পঞ্চম উইকেটে দুজনে ৮৪ রান জোড়েন। ভরতকে ফিরিয়ে দেন নাথান লায়ন। এর পরে অক্ষর পটেল ও বিরাট জুটি বেঁধে শাসন কেরতে তাকেন অজি বোলারদের। ১১৩ বলে ৭৯ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে ফেরেন আগ্রাসী অক্ষর। দ্রুত ফেরেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অকারণে তাড়াহুড়ো করে রান নিতে গিয়ে শূন্য রানে ফিরে যান উমেশ যাদবও।
একের পর এক সতীর্থকে ফিরতে দেখে কিছুটা ধৈর্যচ্যূতি ঘটে বিরাটের। ফলস্বরূপ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানোর নজির হাতছাড়া করতে হয় তাঁকে। ৩৬৪ বলে ১৮৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। বিরাটের চোখধাঁধানো ইনিংসে ছিল ১৫টি চার। অর্থাৎ খুচরো রান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের গোটা মাঠ ছুটিয়েছেন। সফরকারী দলের পক্ষে টড মরফি ও নাথান লায়ন তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। চতুর্থ দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩। ।