নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠার পরে চাপে পড়ে মণিপুরের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার সকালে সংসদ ভবনে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মণিপুরে যা ঘটেছে তা যে কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার।ওই ঘটনার জন্য ১৪০ কোটি দেশবাসীর মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। যারা ওই ঘটনায় জড়িত তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।’ যদিও কেন ঘটনার দু’মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অপরাধীদের ধরতে পারল না মণিপুরের ডাবল ইঞ্জিন সরকারের পুলিশ তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি ‘সরব’ মোদি।
গতকাল বুধবারই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দুই কুকি যুবতীকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরাচ্ছে মেইতেই জনগোষ্ঠীর দুষ্কৃতীরা। হাত জোড় করে দুই যুবতী ছেড়ে দেওয়ার জন্য আকুল আর্তি জানাচ্ছেন। কিন্তু নরপিশাচরা সেই আর্তিতে কর্ণপাত না করে যৌন নির্যাতন চালায়। এমনকী এক যুবতীকে ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণও করা হয়। ওই ভিডিও ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। ওই লজ্জাজনক ভিডিও যাতে দেশের সাধারণ মানুষ না দেখতে পান তার জন্য কোমর কষে আসরে নেমেছে মোদি সরকারের তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের আধিকারিকরা।
মণিপুরের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মণিপুরের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তা অত্যন্ত লজ্জার। বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। সাংবিধানিক ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে সরকার কোনও পদক্ষেপ না করলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নেবে।’ আগামিকাল শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।