নিজস্ব প্রতিনিধি: সানডে ফানডে তখনই হয়, যখন আপনার মুখের সামনে লাজবাব খাওয়ার এসে উঁকি দেয়। সারাটা সপ্তাহ হাড়ভাঙা খাটুনি। আর প্ল্যানিং কবে আসবে উইক এন্ড। কি খাবেন, কোথায় ঘুরবেন সব কিছুরই একটা ছক আপনি প্রায় সারা সপ্তাহজুড়ে করে ফেলেন। শনিবার শুধুমাত্র সেটাকে রিচেক করে দেখা। আচ্ছা এই উইক এন্ডে, যদি আপনার পকেটের খরচ একটু বাঁচাতে ইনোভেটিভ রেসিপি আপনাকে শেয়ার করি, তাহলে বোধহয় মন্দ হবে না।
ভয় নেই আপনি এই রেসিপিটি বাড়িতে ট্রাই করবেন, খাবেন মন খুলে, আপনি ওয়েট গেইন করবেন না। বাড়িতে বসেই আপনি পেয়ে যাবেন একেবারে রেস্টুরেন্টের স্বাদ। তাই রবিবার আপনার পরিবারকে নিয়ে মজে যান শাহি চিকেনের স্বাদে।
কি ভাবছেন, এতে হয়তো খরচ খুব বেশি হবে। না, একেবারেই নয়, সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে আপনি বানিয়ে ফেলতে পারবেন এই মনপসন্দ রেসিপিটি।
প্রথমেই জেনে নিন শাহি চিকেন বানাতে কি কি উপকরণ লাগবে?
চিকেন- ৫০০/৭৫০ গ্রাম
দই- ৫০গ্রাম
পেঁয়াজ বাটা- ৩ -৪ টেবিল চামচ
সরষের তেল- পরিমাপ মতো
আদাবাটা- ২চামচ
রসুনবাটা-২ চামচ
ধনেগুঁড়ো- দেড় চা চামচ
জিরেগুঁড়ো- দেড় চা চামচ
কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো- ১টেবিল চামচ
কাঁচালঙ্কাবাটা- আন্দাজমতো
হলুদ গুঁড়ো- আন্দাজমতো
গরম মশলা গুঁড়ো- আধ চা চামচ
চিকেন মশলা গুঁড়ো- হাফ চা চামচ
নুন, চিনি- স্বাদমতো
পাতিলেবু- ১টা
আলু- ১-২টো
তেজপাতা- ১টা
পেঁয়াজকুচি-১টা
কিভাবে চটজলদি বানাবেন শাহি চিকেন?
প্রথমে একটি পাত্রে চিকেন ধুয়ে তাতে একে একে দই, পেঁয়াজ বাটা, আদা, রসুন বাটা, কাঁচালঙ্কাবাটা, কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো, জিরে, ধনে, হলুদ, নুন ও চিনি এবং সবশেষে পরিমাপ মতো সরষের তেল দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। প্রায় আধঘন্টা মতো রেখে দিতে হবে। অন্য একটি বোলে কেটে রাখা আলুর টুকরোগুলিতে নুন, হলুদ মাখিয়ে নিতে হবে। এরপর কড়াই গরম হয়ে এলে তাতে সামান্য সর্ষের তেল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে এলে তাতে প্রথমে আলুর টুকরোগুলি একে, একে দিয়ে ভেজে নিতে হবে। এরপর তেজপাতা ফোড়ন দিতে হবে। পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিতে হবে। মেরিনেট করে রাখা চিকেন কড়াইতে দিয়ে ভালোভাবে কষতে হবে। তেল থেকে মশলা ছেড়ে গেলে আলুর টুকরো গুলি চিকেনের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে লেবুর রস দিয়ে কষাতে হবে। এরপর পরিমাণ বুঝে গরম জল দিয়ে কষাতে হবে। খুব একটা ঝোল থাকবে না। হাল্কা গ্রেভি রাখতে হবে। নামানোর মুখে গরম মশলা ও চিকেন মশলা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখতে হবে।
এরপর গরম ভাতে পরিবেশন করুন লাজবাব শাহি চিকেন। একবার বানিয়ে খান, বারবার খেতে ইচ্ছে জাগবে।