নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: অসংসদীয় আচরণের অভিযোগে কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে লোকসভা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। মণিপুর নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের পরেই অসংসদীয় আচরণের জন্য লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতাকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব পেশ করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি। কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোট শূন্য লোকসভায় সহজেই পাশ হয়ে যায় বহরমপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব। অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতাকে। লোকসভার ইতিহাসে এই প্রথম কংগ্রেসের দলনেতা সাসপেন্ড হলেন।
বৃহস্পতিবার মণিপুর নিয়ে লোকসভায় অনাস্থা বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীরবতা নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীকে ‘নীরব মোদি’ বলে কটাক্ষও করেছিলেন। আর ওই অপমান হজম হয়নি শাসক দলের সাংসদদের। তড়িঘড়ি লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি। ওই প্রস্তাবে বলা হয়, বার বার সভার কাজে বাধা সৃষ্টি করে চলেছেন কংগ্রেসের দলনেতা। এমনকি অসংসদীয় আচরণ করে চলেছেন। সভার নেতা সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। স্বাধিকার ভঙ্গ করেছেন। ফলে যতদিন না পর্যন্ত লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি কোনও সিদ্ধান্ত না নেয়, ততদিন পর্যন্ত সাসপেন্ড থাকুন অধীর।’
বিরোধী শূন্য লোকসভায় ওই প্রস্তাব পাশ করিয়ে নিতে কোনও সমস্যাই হয়নি শাসক শিবিরের। ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য লোকসভা থেকে সাসপেন্ড থাকবেন অধীর। যদিও সাসপেন্ডের সিদ্ধান্তকে খুব গুরুত্বই দিতে চাননি কংগ্রেসের দলনেতা। পাল্টা কটাক্ষের সুরে বলেন, সংসদের ভিতরে যাতে মুখ খুলতে না পারি তার জন্য সাসপেন্ডকরা হয়েছে। সংসদের বাইরে তো আর মুখ বন্ধ করাতে পারবে না মোদি সরকার।