এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মা নিজেই স্বপ্ন দিয়ে গ্রামে এসেছিলেন, তাই ৩ দিন রান্না হয় না

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: তখন দিল্লির মসনদে বসে আছেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। সময়টা ইংরাজির ১৬৯৩ খ্রিস্টাব্দ। বাংলার ১১০০ সন। সেই সময়ে সোঁয়াই গ্রামে(Snoyai Village) থাকতেন মুখোপাধ্যায় পরিবারের পূর্বপুরুষ বাসুদেব মুখোপাধ্যায়। বর্তমানে এই গ্রামের অবস্থান পশ্চিম বর্ধমান(Paschim Burdhwan) জেলার দুর্গাপুর মহকুমার(Durgapur Sub Division) কাঁকসা ব্লকের পানাগড়ের(Panagarh) কাছে। বাসুদেব মুখোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটে ছিল দুর্গাপুরের কাছেই থাকা ফরিদপুর গ্রামে। কিন্তু টোলে পড়াশোনা করতে তাঁর সোঁয়াই গ্রামে আসা। তারপর এই গ্রামেরই মেয়েকে বিয়ে করে এখানে থাকতে শুরু করেন। এই বাসুদেব মুখোপাধ্যায় একদিন হঠাৎই স্বপ্নাদেশ পান। স্বপ্নাদেশে মা দুর্গা তাঁকে বলেন, তিনি অপূজিত অবস্থায় ফরিদপুরে বাকলসার গ্রামে পড়ে আছেন। স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পর আর সময় নষ্ট করেননি বাসুদেববাবু। তিনি তাঁর ৩ পুত্র ও পরিবারের অন্যদের নিয়ে সোজা চলে যান পৈতৃক ভিটেয়। তারপর তাঁর পারিবারিক দুর্গার কাঠামো কাঁধে করে সোঁয়াই গ্রামের দিকে পা বাড়ান। সেই সূত্রেই মায়ের গ্রামে আসা।

এই ফরিদপুরের বাকলসার গ্রাম থেকে পানাগড়ের সোঁয়াই গ্রামে আসার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। মায়ের কাঠামো নিয়ে যখন বাসুদেব মুখোপাধ্যায় ও তাঁর ছেলেরা সোঁয়াই গ্রামের কাছে চলে আসেন তখন তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে বর্ধমানের মহারাজার। সেটাও যেন মায়েরই ইচ্ছা। সেই সময়ে যে রাস্তা ধরে তাঁরা আসছিলেন সেই রাস্তার উল্টোদিক থেকে বর্ধমানের মহারাজা ভ্রমণ সেরে ফিরছিলেন। রাজা যে পথে যাবেন সেই পথ আগলে কারা এভাবে আসছে তা দেখতে রাজার পাইক, বরকন্দাজ ছোটে। তারা বাসুদেব মুখোপাধ্যায়কে রাস্তা ছেড়ে সরে দাঁড়াতে বলে। কিন্তু বাসুদেববাবু জানিয়ে দেন মায়ের কাঠামো নিয়ে তাঁরা রাস্তা ছাড়বেন না। বরং রাজা সরে দাঁড়ান। মা যাবেন। কিসের এত হাঙ্গামা তা জানতে রাজা এবার স্বয়ং এগিয়ে আসেন। ধর্মপ্রাণা রাজা যেই শোনেন যে মা দুর্গার কাঠামো যাচ্ছে তিনি তৎক্ষণাৎ রাস্তা ছেড়ে সরে দাঁড়ান। শুধু তাই নয়, মায়ের পুজোয়(Basudeb Mukhopadhay Families DurgaPuja) যাতে কোনও কিছুর অভাব না ঘটে তার জন্য বর্ধমানের মহারাজা বাসুদেব মুখোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারকে জমি, পুকুর সহ প্রচুর সম্পত্তি দান করেছিলেন।

সেই থেকে পুজো শুরু। গ্রামের উন্নতিও ঘটতে থাকে সেই সময় থেকে। মা নিজে স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে এই গ্রামে আসতে চেয়েছিলেন বলে মায়ের সম্মাণে আজও সপ্তমী থেকে নবমী অবধি সোঁয়াই গ্রামে কারও বাড়িতে উনুন জ্বলে না। রান্নাও হয় না। আজও সকলের পাত দুইবেলাই পড়ে মুখোপাধ্যায় পরিবারের বাড়িতে। সেই পুজো এই বছর ৩৩১ বছরে পা রাখল। নবমীর পুজোতে মুখার্জী পরিবারের রীতি মেনে মায়ের নামে আখ, ছাগ, মোষ উৎসর্গ করা হয়। বিজয়া দশমীতে মাকে কাঁধে করে নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়। শুরু হয় আরও এক বছরের অপেক্ষা। আজও চিরাচরিত রীতি মেনে, পুরনো পারিবারিক পুঁথি মেনেই হয় পুজো।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তাপপ্রবাহের সতর্কতার সঙ্গে বর্ষা নিয়ে সুখবর দিল হাওয়া অফিস 

শান্তনুর যাত্রাভঙ্গের আশায় প্রহর গুণছেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের ক্ষুব্ধ ভোটাররা

তৃণমূল কর্মীর  রহস্যমৃত্যু, গোসাবায় ছড়িয়ে উত্তেজনা

তীব্র দাবদাহের জেরে রাস্তায় নামানো হচ্ছে বাড়তি এসি বাস, নয়া পদক্ষেপ সরকারের

কাঁথিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি  মমতার

ভোটের ডিউটিতে পুলিশ কর্মীদের সাম্মানিক চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর