নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তাঁর উপাচার্য পদের যোগ্যতা নিয়েও বহুবার প্রশ্ন উঠেছে। এবার তাঁকে উপাচার্য পদ থেকে সরানো উচিত বলে পর্যবেক্ষণ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। অধ্যাপক মানস মাইতিকে প্রকল্প থেকে সরানোর জন্য দায়ের হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। ৭ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অধ্যাপককে প্রকল্পে কাজের নিশ্চয়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
মঙ্গলবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, উপাচার্য পদ থেকে বিদ্যুৎকে সরানো উচিত। কী ভাবে উপাচার্য হলেন তিনি? সাত দিনের মধ্যে মানস যাতে প্রকল্পে কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
২০২১ সালে উপাচার্যের একটি সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ করেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপকেরা। তাঁদের এরপর ৬ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। সেইসময় প্রতিবাদ করেন অধ্যাপক মানস। তাঁকে শোকজ করেন উপাচার্য।
এই শোকজ়ের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মানস। তাঁর বিরদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না করার নির্দেশ দেয় আদালত। ২০২২ সালে সিইআরএন প্রকল্প থেকে অধ্যাপক মানস মাইতিকে সরানোর জন্য সিইআরএন কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখেন উপাচার্য। মানসকে প্রকল্প থেকে সরানোর বিষয়টি আদালত খারিজ করে।
তবে অধ্যাপক কিভাবে এই চিঠি পেলেন তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে সিইআরএন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন বিদ্যুৎ। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। ফের আদালতে ছোটেন অধ্যাপক। ওই সাসপেনশন খারিজ করে আদালত। প্রকল্প থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিলে আবার হাই কোর্টে মামলা করেন মানস। এই মামলাতেই তখনই উপাচার্য প্রসঙ্গে এই পর্যবেক্ষণ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।