নিজস্ব প্রতিনিধি: নৈহাটির শ্যামাপুজোর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ অরবিন্দ রোডের বড়মা কালী। এবছর বড়মার পুজো একশো বছরে পদার্পন করেছে। দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও পৌঁছে গিয়েছে বড়মার সুখ্যাতি। নৈহাটির বড়মার মূর্তির উচ্চতা ২১ ফুট। নৈহাটির অন্যান্য কালী প্রতিমার চেয়ে এই মূর্তির উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ায় জনমানসে বড়মা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। রবিবার নৈহাটির বড়মার পুজোয় ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছিল। ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের।
দেবী এখানে অত্যন্ত জাগ্রত। প্রতিমা ঘন কৃষ্ণবর্ণ এবং সর্বালঙ্কারে ভূষিতা। নবদ্বীপে রাস উৎসবে গিয়ে বড় বড় মূর্তি দেখার পর নৈহাটির নদীয়া জুটমিলের কর্মী তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী ভবেশ চক্রবর্তী বড় কালী পুজোর প্রচলন করেন। পরবর্তীতে বড় কালী বড়মা হিসেবে জনমানসে ছড়িয়ে পড়ে। পুজোর সময় চার দিন দেবীর বিশেষ পুজো করা হয়। প্রত্যেক দিন আলাদা আলাদা করে বড়মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়।আমাবস্যার পর থেকেই নৈহাটির বড় মা র পুজো দিতে লক্ষাধিক মানুষ শুধু দন্ডি কেটেছেন বলে জানালেন মন্দির কমিটির সভাপতি অশোক চট্টোপাধ্যায়।
অন্যদিকে মন্দির কমিটির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য বলেছেন, বড়মার পুজো এবার ১০০ বছর। তাই টানা ১০০ ঘন্টা জনসাধারণের জন্য প্রসাদ বিতরণ করা হবে। বড়মার কাছে আসলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায় এই বিশ্বাস নিয়েই লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় এখানে।