নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অক্টোবর মাসে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর আট প্রাক্তন কর্মীর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে ভারতের আবেদন গ্রহণ করলো কাতার আদালত। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, , কাতারের আদালত আপিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শুনানির তারিখ নির্ধারণ করবে।গত ২৬ অক্টোবর কাতারের কোর্ট অব ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসে কর্মরত আট জনকে মৃত্যুদণ্ডের মূল রায় দেয়।
২০২২ সালের ৩০ আগস্ট তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন, ক্যাপ্টেন নবতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা এবং নাবিক রাগেশ। ভারত সরকারের সূত্রে জানা গিয়েছে, কাতারি কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রেপ্তারের কারণ জানায়নি। শুধু তাই নয় মামলার অনেক বিবরণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী ৯ নভেম্বর বলেন, “আমরা কাতারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।”
প্রসঙ্গত , ৩০ অগাস্ট কাতারের গুপ্তচর সংস্থা স্টেট সিকিওরিটি ব্যুরো ৮ জনকে গ্রেফতার করে। সেইসময় একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করতেন তাঁরা। কাতারের সশস্ত্রবাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদানকারী দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তাঁরা। কাতারের তরফে সরকারিভাবে গ্রেফতারি নিয়ে কিছু জানানো না হলেও, সূত্রের খবর, ওই ৮ প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা অফিসারের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে। কাতারের উন্নত সাবমেরিনগুলির বিষয়ে তাঁরা ইজরায়েলকে তথ্য পাচার করেন বলে অভিযোগ। তাই ভারতীয় নৌসেনা অফিসারদের গ্রেফতার করে কাতারের গুপ্তচর সংস্থা।
উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী নিশ্চিত করেছিলেন যে গ্রেফতার হওয়া অফিসারদের পরিবার আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জমা দিয়েছে।২০২৩ সালের মার্চ মাসে এই মামলার প্রথম বিচার অনুষ্ঠিত হয়। অক্টোবরে কনস্যুলার অ্যাক্সেস দেওয়া হয়েছিল এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বন্দীদের সাথে দেখা করেছিলেন। কিন্তু ২৬ অক্টোবর স্থানীয় আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।