নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বর্তমানে তারকাদের সমৃদ্ধি শুধুই বিনোদন মহলে আটকে নেই, তাঁদের প্রসারতা বিনোদন মহল থেকে বেরিয়ে রাজনৈতিক চত্বরেও প্রবেশ করেছে। হ্যাঁ, ইতিমধ্যেই একাধিক তারকারা অভিনয়কে বিদায় জানিয়ে রাজনৈতিক মহলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আবার কেউ কেউ উভয় মহল নিয়েই ব্যস্ত। ভারতে তো এমন উদাহরণ ভুরি ভুরি। বাংলাদেশেও বাদ নেই। যাই হোক, কয়েক বছর ধরেই তিনি রাজনীতিতে ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিছুদিন আগেই মাহিয়া মাহি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলের ফরম কিনেছিলেন। এবার একই তালিকায় নাম লেখালেন ঢাকাই চিত্রনায়ক ফেরদৌসের। ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ দিয়ে অভিনয় শুরু করেছিলেন তিনি, ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া এ ছবির মাধ্যমেই দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে নিজের জায়গা পোক্ত করেন ফেরদৌস। ২৫ বছর কাটিয়ে ফেললেন অভিনেতা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে সারা দেশের বিভিন্ন নির্বাচনে জনসংযোগে দেখা যায় তাঁকে। এবার তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে লড়তে চলেছেন। এদিন ঢাকার দুটি আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন অভিনেতা।
এই বিষয়ে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘তফসিল ঘোষণার পরেই মনোনয়ন ফরম প্রদান কার্যক্রম শুরুর দ্বিতীয় দিনেই অনলাইনে তিনি ঢাকার দুই আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। পরদিন দুই আসনের মনোনয়ন ফরম জমাও দিয়েছেন। ফেরদৌস ঢাকা–১০ ও ঢাকা–১৮—এই দুই আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। যেহেতু অনলাইন উইং খোলা হয়েছে, তাই চাপ কমানোর জন্যে অনলাইনে ফর্ম কিনেছেন। তিনি গেলেই মানুষের ভিড় জমবে। মানুষের সেবা করতে গিয়ে উল্টো ভোগান্তি বাড়াতে তিনি চাননা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে তাঁর ভাবনা হিসেবে ফেরদৌস বলেন, ‘আমার জীবনের প্রথম ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে। এর পর থেকেই নানা উপলক্ষে তাঁর সান্নিধ্য পাওয়ার সুযোগ হয়েছে। ওনার দর্শনে বিশ্বাসী হয়ে রাজনীতিতে আমার সক্রিয় অংশগ্রহণ। আমার মনে হয়েছে, আমি যদি ওনার সঙ্গে কাজ করি, যেকোনো দেশের অগ্রগতির জন্য সাংস্কৃতির বিপ্লবের বড় একটা প্রভাব থাকে। সেই জায়গা থেকে আমার সঙ্গে যেহেতু শিল্পী ও শিল্পাঙ্গনের সবার সঙ্গে একটা আন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে, তাই মনে হয়েছে, আই শুড বি দেয়ার। এই ভাবনা থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া।’ রাজনীতিবিদ হিসেবে তাঁর স্বপ্ন, মানুষের চোখে বাস্তবের হিরো হয়ে ওঠা। জনকল্যাণে মানুষের কাছে থেকে, পাশে থেকে যতটুকু সম্ভব মানুষের জন্যে কিছু করার। তাঁর দ্বারা যেন কারও কোনো ক্ষতি না হয়, তাই রাজনীতিবিদ হিসেবে মানুষের সেবায় নিজেকে আরও ভালোভাবে নিয়োজিত করতে চান।