এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

তারাপীঠে তারা মায়ের দেহ স্পর্শ করা না গেলেও চরণ স্পর্শ করা যাবে

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: এতদিন তারাপীঠে(Tarapith) মা তারার বিগ্রহ স্পর্শ করে ফুলের মালা পরিয়ে পুজো দিয়েছেন ভক্তরা(Devotees)। কিন্তু সেই সুযোগ আর থাকছে না। ইতিমধ্যেই তারাপীঠে তারা মায়ের মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে মায়ের দেহ স্পর্শ করে পুজো দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিগ্রহের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি বা সেলফি তোলাও। শুধু তাই নয়, মায়ের বিগ্রহও এবার ঘিরে দেওয়া হচ্ছে লোহার রেলিং দিয়ে। আর এই সব কিছু নিয়েই গত কয়েকদিন ধরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে তারাপীঠ মন্দির কমিটি(Tarapith Temple Committee)। সেই সমালোচনার ঝড়ের মুখে পড়ে তাঁরা এবার জানিয়েছেন, তারা মায়ের মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে মায়ের বিগ্রহ কাউকে স্পর্শ করতে না দেওয়া হলেও, গর্ভগৃহের ভিতরে থাকা দেবীর পিতলের চরণ স্পর্শ করতে পারবেন ভক্তরা। সেখানে পুজোর অঞ্জলির ফুলও দিতে পারবেন।

তবে এই ছাড় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও একটি বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করেছে মন্দির কমিটি যা নিয়ে নতুন করে সমালোচনার ঝড় ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তারাপীঠ মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে গর্ভগৃহের ভিতরে দেবীর সামনে অঞ্জলি দেওয়া যাবে না। , ভক্তরা পুজোর লাইনে অঞ্জলি দিতে দিতে গর্ভগৃহে প্রবেশের পর দেবীর চরণ স্পর্শ করে বেরিয়ে যাবেন। ফুল, মালা সবই মায়ের চরণে দিতে হবে। যাঁরা পুজোর লাইনে থাকবেন, তাঁরা অন্যান্য তীর্থস্থানের মতো অঞ্জলি দিতে দিতে গর্ভগৃহে প্রবেশ করে দেবীর চরণ স্পর্শ করে বেরিয়ে যাবেন। যদিও তারাপীঠ মন্দিরের নতুন নিয়ম(New Rules) নিয়ে সরব হয়েছেন ভক্তদের অনেকেই। তাঁদের দাবি, সবটাই আসলে টাকার খেলা। ভক্তদের পকেট কেটে পান্ডারা নিজেদের পকেট ভরাতে চাইছেন। তাই সব দরজা আর সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মন্দিরে নেতা, মন্ত্রী, আমলা ও বিশেষ ভক্তদের ক্ষেত্রে এইসব নিয়ম মানা হয় না। এমনকি পকেটে মোটা টাকা গুঁজে দিলেই সব নিয়ম হাওয়া হয়ে যায়।

এই বিষয়ে তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘ভক্তদের পুজোর লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এনিয়ে বারবার অভিযোগ আসে। কী কী কারণে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, সেব্যাপারে আমরা পর্যালোচনা করেছিলাম। গর্ভগৃহে বিগ্রহের ছবি বা দেবীর সঙ্গে সেলফি তোলেন অনেকেই। এরজন্য পুজো দেওয়ার পরও কিছুটা সময় ভক্তরা গর্ভগৃহে থেকে যাচ্ছেন। ফলে সংকীর্ণ গর্ভগৃহে অন্য ভক্তরা ঢুকতে পারেন না। বিশৃঙ্খলা হয়। এছাড়াও অঞ্জলি দেওয়ার ক্ষেত্রেও সময় ব্যয় হয়। তাই এই সময়টাকে কমিয়ে আনতে পারলে ভক্তদের পুজো দেওয়ার লাইন সচল থাকবে। তারজন্য এতে সব ভক্তই মায়ের দর্শন পাবেন। তেমনই হাজার হাজার ফুলের মালায় দেবীর সাজ নষ্ট হবে না। ভক্তরা সবসময় দেবীকে রাজবেশে দর্শন করতে পাবেন। বর্তমানে দেবীর বিগ্রহের সামনের অংশ পিতলের রেলিং দিয়ে ঘেরা আছে। নতুন বছর শুরুর আগেই সেই রেলিংয়ের উচ্চতা বাড়ানো হচ্ছে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কমিশনের নির্দেশে ভূপতিনগর ও পটাশপুর থানার নতুন ওসিরা দায়িত্ব নিলেন

গয়েশপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠিচার্জ, আহত একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী

‘তাঁর চরিত্র মোটেই সাধুসন্ত সুলভ নয়’, মমতার সুরে কার্তিক সুর অধীরেরও

হাওড়ার ডোমজুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠিচার্জ, ষষ্ঠী তলায় বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ

‘রাজ্য আছে, পালের গোদা হারিয়ে গিয়েছে’, মমতার নিশানায় রাজ্যপাল

বনগাঁতে ঝড়ে লন্ডভন্ড ভোট গ্রহণ কেন্দ্র, ব্যারাকপুরে লোডশেডিং- এর মধ্যে চলছে ভোটগ্রহণ পর্ব

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর