নিজস্ব প্রতিনিধি : সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেবেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা চম্পাই সোরেন। তার আগে রবিবার হায়দরাবাদ থেকে শাসক দল জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডি বিধায়কদের রাঁচিতে নিয়ে আসা হল। ইতিমধ্যে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে্ শপথ নিয়েছেন চম্পাই সোরেন।
৮১ আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির মোট ৪৭ জনের সমর্থন রয়েছে। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা ভোটে জিততে ৪১ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। ফলে চম্পাই সোরেনের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে বেশি কসরত করতে হবে না। জানা গিয়েছে, চম্পাই সোরেনের সমর্থনে ৪৩ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। ঝাড়খণ্ডে যে মহাজোটের সরকার থাকবে, সেবিষয়ে আত্মবিশ্বাসী চম্পাই সোরেন জানান, ৪৩ জনের বিধায়কদের সমর্থনপত্র ইতিমধ্যে রাজ্যপালের কাছে আমরা জমা দিয়েছি। বিধানসভায় আস্থা ভোটের সময় সেই সংখ্যাটি ৪৬-৪৭-এ গিয়ে পৌঁছেছে। ফলে মহাজোট সরকার নিয়ে কোনও সমস্যার কারণ নেই।
এর আগে গত বুধবার জমি দুর্নীতি মামলায় হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করে ইডি। সোরেনের গ্রেফতারির আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। সোরেনের ইডির হাতে গ্রেফতারির পর গত শুক্রবার শপথ নেন চম্পাই সোরেন। চম্পাই সোরেনের শপথ গ্রহণের পর জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডি বিধায়কদের বিমানে হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল হয়ে যায়।