নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ৩০ শে সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে টিকে থাকতে গেলে এই আসনে মমতা বন্দ্যোপাধায়কেই জিততেই হবে। তাই প্রচারে খামতি রাখছে না তৃণমূল। উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপিও। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ তাঁদের বারবার আটকাচ্ছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। প্রচারে বাধা দিচ্ছে। আজই দিলীপ ঘোষকে মারধর করতে যাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। যদিও এই ঘটনা ভুল, মানুষ বিজেপিকে চাইছে না বলেই এই হামলা, এমনটাই দাবি করেছেন বিধায়ক মদন মিত্র।
ভবানীপুরের আজকের ঘটনা প্রসঙ্গে মদন মিত্র জানিয়েছেন, ‘মিটিংটা আমার অফিসের নিচেই হচ্ছিল। মিটিং শুরু হওয়ার পাঁচ-সাত মিনিট আগে অবধি আমি ওখানেই ছিলাম। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। হঠাৎ সকালে খবর আসে যে বিজেপি সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা প্রতিটি পাড়ায় জনগণকে ভয় দেখাচ্ছে, ধাক্কা মারছে। এগুলি করার কোনও দরকার নেই। এমনিতেই চাকরি গিয়েছে দিলীপের, এবার যাবে শুভেন্দুর। গণতন্ত্র আছে বলেই এখানে প্রচার করতে পারছে বিরোধীরা। অভিষেককে ত্রিপুরা যেতে দিচ্ছে না। সেখানে গণতন্ত্র নেই। কেউ কিন্তু নন্দীগ্রাম বা ভাটপাড়ার বদলা নেয়নি। বিজেপি খুব ভালো ভাবেই ভবানীপুরে প্রচার করছে।’
বিজেপির এই আক্রমণের ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, ‘কেউ কোথাও আটকায় না। এদের মানুষই মেনে নিচ্ছেন না। যেহেতু কিছু নেতা উল্টোপাল্টা বলছেন, তাই কিছু কিছু জায়গায় মানুষই তাদের চাইছে না। মানুষ প্রতিবাদ করছেন। বিজেপি খায় না মাথায় দেয় যে তাকে আটকাবে? এসবের কোনও মূল্য নেই।’