নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের মুখেই রাজনৈতিক ডিভিডেন্ড তুলতে দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করেছে কেন্দ্র। ওই আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণার আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে দায়ের হয়েছে ২৩৭টি আবেদন। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুরু হচ্ছে ওই আর্জির শুনানি। ফলে গোটা দেশের চোখ থাকছে ওই শুনানির দিকে। শীর্ষ আদালত কী রায় দেয়, তার দিকে তাকিয়ে সব পক্ষ।
২০১৯ সালে দেশজুড়্বে বিক্ষোভের মধ্যেই সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংক্রান্ত বিল পাশ করেছিল মোদি সরকার। ওই বছরের ডিসেম্বরেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বিলে সই করেন। ফলে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হয়। যদিও আইনের ধারা চূড়ান্ত করতে প্রায় চার বছর সময় নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। লোকসভা ভোটের মুখে তড়িঘড়ি করে আইন কার্যকর করার কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দএ। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের রাজ্যে কার্যকর হবে না নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। যদিও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আইন কার্যকর করতে বাধ্য দেশের সব কয়টি রাজ্য।
ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের সংবিধানকে লঙ্ঘন করা হচ্ছে অভিযোগ জানিয়ে সিএএ’কে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে শীর্ষ আদালতে জমা পড়েছে একাধিক আর্জি। আবেদনকারীদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ-সহ আরও কয়েকটি সংগঠনও সিএএ কার্যকরের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। সব আবেদনের শুনানি একই সঙ্গে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ আদালত।