নিজস্ব প্রতিনিধি,পিংলা: পুলিশকে আটকাতে মহিলাদের লাঠি, বঁটি, ঝাঁটা হাতে রুখে দাঁড়ানোর নিদান দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। যিনি আবার আসন্ন লোকসভা ভোটে ঘাটালে পদ্ম প্রতীকে লড়ছেন। তার ওই নিদান নিয়ে ইতিমধ্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে। শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে খড়গপুরের বিধায়কের মন্তব্যের সমালোচনা করা হয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি এভাবে আইন হাতে তোলার নিদান দিতে পারেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
শনিবার পিংলার(Pingla) বিভিন্ন গ্রামে জনসংযোগ যাত্রা করেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়(Hiran Chatterjee)। সেখানে বাসিন্দাদের বিশেষ করে মহিলাদের সামনে পেয়ে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি এদিন প্রচারের মাঝে মন্দিরে পুজো দেন। গ্রামের রাস্তার চেহারা তুলে ধরে এক হাত নেন প্রতিপক্ষ প্রার্থী তৃণমূলের দীপক অধিকারী তথা অভিনেতা দেবকেও। ভোটে জিতে রাস্তা তৈরি করবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দেন। হিরণ বলেন, পিংলায় গ্রামের পর গ্রাম সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। তবে তাদের এবার সন্ত্রাসের দিন শেষ। গ্রামবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, তৃণমূলের কত বড় গুন্ডা আছে দেখব।
পুলিশ গিয়ে যদি গুন্ডাগিরি দেখায় তাহলে ওসি, আইসিদের ছবি তুলে আমাকে পাঠাবেন। আমি ঘরে বাঁধিয়ে রাখব। বাকি কথাটা আপনারা বুঝে নিন। তবে সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের পিংলা ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য শেখ সবরাতি বলেন, এসব ভোটের চমক ছাড়া আর কিছু নয়। তৃণমূল কোথাও কোনও সন্ত্রাস করে না। করলে হিরণ কি এলাকায় ঘুরতে পারতেন? বিজেপি পতাকা টাঙাতে পারত? আসলে ওদের মিটিং-মিছিলে লোক হচ্ছে না, তাই এসব বলে বাজার গরম করতে চাইছে। মানুষ সব জানে। ২১ সালের বিধানসভা ভোটে কারা সন্ত্রাস করেছিল, তা মানুষ ভুলে যায়নি। ওরা এবার ভোটে তার জবাব পেয়ে যাবে। মানুষ তৈরি আছে।