নিজস্ব প্রতিনিধি, জয়পুর: রুদ্ধশ্বাসম্যাচে শেষ বলে জয় ছিনিয়ে নিয়ে রাজস্থান রয়্যালসের জয় রথ রুখে দিল গুজরাত টাইটানস। শেষ বলে জয়ের জন্য ২ রান দরকার ছিল শুভমন গিলদের। বল মাঠের সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দলকে জয় এনে দিলেন রশিদ খান। বুধবার রাতে জয়পুরের সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে টানা দুই ম্যাচ বাদে জয়ের সরণীতে ফিরলেন শুভমন গিলরা। আর চার ম্যাচ জেতার পরে প্রথম হারের মুখ দেখলেন সঞ্জু স্যামসনরা।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তিন উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান তুলেছিল রাজস্থান রয়্যালস। জয়ের জন্য ১৯৭ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা মন্দ করেননি গুজরাতের দুই ওপেনার সাই সুদর্শন ও শুভমন গিল। অনায়াসেই রাজস্থানের বোলারদের আক্রমণ সামলে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। অপ্রতিরোধ্যই মনে হচ্ছিল দুজনকে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের কপালে চিন্তার ভাঁজও বেড়ে চলেছিল। নবম ওভারে বল করতে এসে সুদর্শনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কুলদীপ সেন। ২৯ বলে ৩৫ করেন সুদর্শন। একাদশতম ওভারে বল করতে এসে ফের গুজরাতকে জোড়া ধাক্কা দেন কুলদীপ। পর পর ফিরিয়ে দেন ম্যাথু ওয়েড (৪) ও অভিনব মনোহরকে। বিজয় শঙ্করও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ১০ বলে ১৬ রান করে যজুবেন্দ্র চহালের শিকার হন তিনি।
একের পর এক সতীর্থকে ফিরে যেতে দেখেও নিজের কর্তব্যে অবিচল ছিলেন গুজরাত অধিনায়ক শুভমন গিল। নিজের অর্ধশতরান করার পাশাপাশি দলকেও খানিকটা স্বস্তির জায়গায় পৌঁছে দেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য যদুবেন্দ্র চহালের বলে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। আউট হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৬টি চার ও ২ ছক্কার সাহায্যে ৭২ রান করেন শুভমন। সাত নম্বরে নামা শাহরুখ খান ৮ বলে ১৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। তিনি আউট হওয়ার সময়ে জয়ের জন্য গুজরাতের প্রয়োজন ছিল ১৫ বলে ৪০ রান। সপ্তম উইকেটে জুটি বেঁধে ক্রিজ আঁকড়ে থাকার পাশাপাশি ঝড় তোলেন রাহুল তেওতিয়া ও রশিদ খান। ইনিংসের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তেওতিয়া (১০ বলে ২০)। শেষ বলে ২ রান দরকার ছিল। চার হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেন রশিদ খান। ১১ বলে তাঁর অপরাজিত ২৪ রান মূল্যবান হয়ে দাঁড়ায় গুজরাতের কাছে। রাজস্থানের পক্ষে কুলদীপ সেন ৪১ রানে তিনটি এবং যদুবেন্দ্র চহাল ৪৩ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন।