নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আগামী বুধবার থেকেই শুরু হচ্ছে ১২-১৪ বছর বয়সীদের করোনার টিকা প্রদানের কাজ। ওই একই দিন থেকে দেশের ষাটোর্দ্ধ নাগরিকদেরও করোনার বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজও শুরু হবে। সোমবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। পাশাপাশি জানানো হয়েছে ৬০ কিংবা তাঁর উর্দ্ধে বয়স যাদের, করোনার বুস্টার ডোজ নিতে তাঁদের কো-মর্বিডিটি তথা অসুস্থতার শর্তটিও সরানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে ওই বয়সী সকলেই করোনার এই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।
সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য একটি টুইটে লেখেন, ‘আমাদের দেশ তখনই পুরোপুরি সুরক্ষিত হবে যখন আমাদের দেশের শিশুরা সুরক্ষিত থাকবে। আর তাই আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আগামী ১৬ মার্চ অর্থাৎ বুধবার থেকে দেশের ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের করোনার টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। একই সঙ্গে ভারতের যে সমস্ত নাগরিকদের বয়স ৬০ কিংবা তাঁর উর্দ্ধে তাঁরাও এখন থেকে প্রেসক্রিপশন ডোজ নিতে পারবেন।’ এরপরেই মান্ডব্য শিশু এবং বয়স্কদের করোনার টিকা নেওয়ার আবেদন জানান।
ঠিক একইভাবেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকেও এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে ‘কেন্দ্রীয় সরকার বৈজ্ঞানিক সংস্থাগুলির সাথে যথাযথ আলোচনার পরে দেশের ১২-১৩ বছর এবং ১৩-১৪ বছর বয়সী (যারা ২০০৮, ২০০৯ এবং ২০১০ সালে জন্মগ্রহণ করেছে। অর্থাৎ যারা ইতিমধ্যে ১২ বছরের বেশি বয়সী)-দের জন্য COVID-19 টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরু থেকেই আঠেরোর নীচে যাদের বয়স তাঁদের করোনার টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি থেকে প্রথমে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়। দেশের সমস্ত রাজ্যেই চলছে এই টিকা প্রদানের কাজ। তার সঙ্গে সঙ্গেই এবার বুধবার থেকে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হতে চলেছে।