নিজস্ব প্রতিনিধি: জমি বিবাদের জেরে ভগ্নিপতিকে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্যালকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। ওই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও দশ জন। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারিক বিবাদের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং দু নম্বর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঝাড়শালবাড়ি গ্রামে। সেই সংঘর্ষে প্রাণ হারান ৫৭ বছর বয়সী গোবিন্দ মন্ডল। স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন ধরেই ঝাড়শালবাড়ির গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ মন্ডল ও তার শ্যালক সুরঞ্জন মন্ডল, শ্যালিকা ও শাশুড়ির মধ্যে জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ চলছে। শনিবার সেই বিবাদ চরমে পৌঁছায়। অভিযোগ শনিবার বিকেলে রীতিমতো লাঠি, রড, কোদাল নিয়ে গোবিন্দ মন্ডলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তার শ্যালক, শ্যালিকা সহ শাশুড়ি। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন গোবিন্দ মণ্ডলের দুই ছেলে। বাবার ওপর আক্রমণ হচ্ছে তা দেখে গন্ডগোল থামাতে যান গোবিন্দ মণ্ডলের দুই ছেলে উত্তম মন্ডল ও গৌতম মন্ডল। লাঠির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন গোবিন্দ মন্ডল। এরপর তড়িঘড়ি তাকে ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হয়। শনিবার গভীর রাতে সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে মৃত গোবিন্দ মন্ডলের বাড়িতে যান ডিএসপি ক্রাইম বিক্রমজিৎ লামা, ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী। গ্রেফতার করা হয় ৩ জনকে। ঘটনার পর থেকেই এলাকা থমথমে। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।