নিজস্ব প্রতিনিধি, গান্ধিনগর: বিনোদ মাসানি। গুজরাতের বিশিষ্ট শিল্পপতি। ধনলাভের আশায় কূলপুরোহিতের পরামর্শ চেয়েছিলেন। পুরোহিত বলেছিল, একটা ছোট ট্রলার (trawler) কিনতে। তাঁর পরামর্শে মেনে বিনোদ মাসানি এবং তাঁর ভাই হিরালাল একটি ছোটো ট্রলার (trawler) কিনেছিলেন। কেনার পর থেকে ভালোই আয় হচ্ছিল। কিন্তু সেই ট্রলার (trawler) যে একদিন তাঁর কাছে গলার কাঁটা হয়ে উঠবে সেটা ভাবতে পারেনি বিনোদ মাসানি এবং তাঁর ভাই। তাদের কেনা সেই ট্রলার ব্যবহার করেছিল কাসভ। মুম্বইতে চালিয়েছিল হত্যালীলা। ভারত-সহ গোটা বিশ্ব সেই ঘটনায় চমকে উঠেছিল। মামলা গড়ায় আদালত। আদালত কাসভকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। কাসভ মরে গেছে। কিন্তু ট্রলার মালিক এবং তাঁর ভাই পড়েছে গাড্ডায়। আদালত বলে দিয়েছে না তারা ওই ট্রলার (trawler) বিক্রি করতে পারবে না তারা ওই ট্রলার ব্যবহার করতে পারবে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রলার (trawler) নোঙর করা রয়েছে পোরবন্দরে।ঘুম থেকে উঠে ট্রলার মালিক বিনোদ মাসানি এবং তাঁর ভাই পোরবন্দরে গিয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে নিজের দুঃখের কথা জানাতে গিয়ে বিনোদ মাসানি বলেন, এই ডিঙি ট্রলার আমার জীবনটাই শেষ করে দিল। (ইসনে মেরি লাইফ বরবাদ করদি)। বরবাদ যে করেছে সেটা বলছে একটি তথ্য।
একসময় বিনোদ মাসানির কাছে ছিল ২০ ট্রলার(trawler) ।এখন হাতে রয়েছে পাঁচটি। তাদের মধ্যে একটি কুবের, যা ব্যবহার করেছিল কাসভ। ১৫টি ট্রলার পাকিস্তান বাজেয়াপ্ত করেছে। এখন বিনোদ মাসানির হাতে পেন্সিল ছাড়া আর কিছুই নেই।