রাজনীতিতে সবই সম্ভব। রবিবার তার সাক্ষী রইল পাকিস্তান। হারতে হারতে বেঁচে গেলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সৌজন্যে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার। স্পিকারের সিদ্ধান্তেক চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিরোধী শিবির সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে কী রায় দেয়, সে দিকে আমাদের সকলের আগ্রহ রয়েছে।
একটা বিষয় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, জন্মলগ্ন থেকেই পাকিস্তান একাধিক রাজনৈতিক অস্থিরতার সাক্ষী ছিল। প্রতিটি ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় সেনাবাহিনীর। যদিও তারা এদিন জানিয়েছে, রবিবারের ঘটনায় তাদের হাত নেই। এই দাবি কতটা খাঁটি, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু যে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, তা হল ইমরানের গদি টিকে যাওয়া। পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে পূর্ণ সময় কেউ প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারেনি। কোনও প্রধানমন্ত্রীকে মরতে হয়েছে, না হলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গদি ছাড়তে হয়েছে। শুরু লিয়াকত আলিকে দিয়ে। ইমরান কতদিন টিকে থাকেন, সেটাই দেখার।
তবে রবিবার পাকিস্তানে যা হল, তা অভাবনীয় বললে ভুল হবে। কমবেশি সকলেই নিশ্চিত ছিলেন রাজার গদিতে টান পড়বে। কিন্তু ইমরান প্রথম থেকেই ছিলেন অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। আর এই নিয়ে তৈরি হয় জল্পনা। কার্যত বিরোধীদের যাবতীয় কৌশল ভেস্তে দিলেন তিনি। জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে ভোটের জন্য দেশবাসীকে প্রস্তুত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ভোটে গদি টেকে কি না, সে দিকে যেমন সকলের নজর থাকবে, নজর থাকবে সুপ্রিম কোর্টের দিকেও।