সভ্য সমাজে হত্যা নিন্দনীয়। আর গণহত্যা নিন্দার অতীত। কোনও সভ্যসমাজ বা দেশ গণহত্যাকে সমর্থন করে না। রাঙামাটির বীরভূম কতগুলো নিরীহ মানুষের তাজারক্তে রক্তিম হয়ে উঠল। এই ঘটনার পিছনে যার হাত থাকুক না কেন, তাঁর যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘটনার পরে পরে সেখান যান। আতঙ্কিত গ্রামবাসীদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনিকস্তরে বড় ধরনের পদক্ষেপ করেন। এই পদক্ষেপের প্রয়োজনও ছিল। দলের তরফ থেকে এই পাশবিক হত্যালীলার কড়া ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে। এ তো গেল সরকার তথা শাসকদলের ভূমিকার কথা। এবার বিরোধী শিবিরের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা দরকার।
বিজেপি থেকে শুরু করে বাম-কংগ্রেস একযোগে শাসকদলের বিরুদ্ধে পথে। শনিবার আবার দেখা গেল বীরভূমের গণহত্যার নিন্দায় বিদ্দ্বজ্জন রাস্তা। আর ‘ঈশ্বরের চেয়েও সর্বশক্তিমান’ একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলের গত কয়েকদিন ধরে ‘ঘণ্টাখানকের’ ফি সন্ধ্যার প্যানেল ডিসকাসানের (পড়ুন ডিসকাস থ্রো) বিষয় বীরভূম। জ্বালানির জ্বালায় দেশ জ্বলছে। তা নিয়ে তাদের একটি শব্দ খরচ করতে দেখা গেল না।
আর এ রাজ্যে বিরোধীদের ভূমিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে সর্বক্ষেত্রে বিরোধিতা করা। তাদের এই অবস্থান মনে করায় বাংলার সেই বহুশ্রুত প্রবাদের কথা- যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা। এক চক্ষু হরিণ বললেও অত্যুক্তি হয় না। এ সরকারের কোনও সাফল্য তাঁদের চোখে পড়ে না। ভোটে মানুষ প্রত্যাখ্যান করার পরেও তাদের বিবেকবোধ জেগে ওঠেনি। ভাগ্যিস একটি বীরভূম হয়ে গেল। না হলে হয়তো তাদের ঘুম ভাঙত না।