নিজস্ব প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ: নাবালিকা মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত এক যুবককে ৪৪ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। আজ রবিবার বিকেলে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান ওই রায় দিয়েছেন। যদিও বাকি দুই অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। অপহরণ ও ধর্ষণের অপরাধে ৪৪ বছরের কারাদণ্ডের সাজা বেনজির বলেই জানিয়েছেন প্রবীণ আইনজীবীরা। ৪৪ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে প্রায়শই নির্যাতিতাকে উত্যক্ত করত দোষী সাব্যস্ত যুবক আবুল হোসেন। ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে জোর করে নির্যাতিতা তুলে নিয়ে যায় সে। তার পরে বিভিন্ন গোপন ডেরায় রেখে লাগাতার ধর্ষণ করে। অপহৃতা মেয়েকে উদ্ধারের আর্জি নিয়ে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতার মা। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। পরে আদালত পুলিশকে অবিলম্বে নিখোঁজ নাবালিকাকে উদ্ধারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়।
আদালতের নির্দেশের পরে ১০ অক্টোবর নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্ত আবুল হোসেন পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে নির্যাতিতা জানায়, বিভিন্ন জায়গায় রেখে তাকে লাগাতার ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত আবুল। তদন্ত শেষে অপহরণও ধর্ষণের দায়ে আবুল সহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।