নিজস্ব প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম। সোমবার ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশী সংবাদমাধ্যম’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই তথ্য দিয়েছেন তিনি। আর এই প্রার্থী হওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ‘নির্বাচন করার ইচ্ছা আমার ছিলো না। কিন্তু এলাকার মানুষ ছাড়ছে না। তাঁরা বলছে, এখানে আপনার মতো মানুষ দরকার।’ খানিকটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে তিনি আবারও বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। সেখানকার জনসাধারণ বলেছে, নির্বাচনে তারা সাহায্য সহযোগিতা করবে। তাদের ভালোবাসা দেখেই আমি সেখানে উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি।’
সময় আর বেশি নেই। আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনে ভোট হবে ৫ জুন। এ উপ-নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে। প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে ও ভোট হবে ৫ জুন। রির্টার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।
এর আগে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন হিরো আলম। তারপর চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। এই আসনটি রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত। হাতে আর কিছু সময়, এর পরেই উপ নির্বাচন। তবে কোনো নির্বাচনেই তিনি জিততে পারেননি। জিততে না পারলেও ফের আশার আলো দেখছেন হিরো আলম। এখন দেখার বিষয় তিনি জিততে পারেন কিনা !