নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশ আছে বাংলাদেশেই। সচেতনতামূলক প্রচারেও চিত্রটি সামান্য বদলাচ্ছে না। গত এক বছরে দেশে শিশু ধর্ষণ ও বাল্য বিয়ের ঘটনা আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে। ২০২১ সালে দেশে ৮১৮টি শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আর করোনার কালবেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ৪৩ হাজার ৫৪টি বাল্য বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে এই উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরেছে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ (এমজেএফ)। সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, দেশে যেভাবে শিশু ধর্ষণ ও বাল্য বিয়ের সংখ্যা বেড়ে চলেছে তা বন্ধে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে প্রশাসনকে। নাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না।’
এদিন ‘এমজিএফ’ এর পক্ষ থেকে এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ‘করোনার কালবেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশে বাল্যবিয়ের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে ৪৩ হাজার ৫৪টি। অথচ ২০২০ সালে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছিল ১০১ জন। আর ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮১৮ শিশু। এছাড়াও ৯৪টি শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ২০২০ সালে যেখানে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ৬২৬ শিশু। বিভিন্ন কারণে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ১৮৩ জন শিশু ও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ১৩৫ শিশুকে। ২০২০ সালে হত্যার শিকার হয়েছিল ১৪৫ জন শিশু।’
এমজিএফের অন্যতম সমন্বয়কারী রাফেজা শাহীন বলেন, ‘দেশে যেভাবে শিশু ধর্ষণ ও বাল্যবিয়ের ঘটনা বাড়ছে তাতে স্পষ্ট বাংলাদেশের শিশুরা তাদের ঘরেই নিরাপদ নয়। অধিকাংশ শিশু ধর্ষণ পারিবারিক পরিবেশে পরিচিতদের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়েছে। মূলত কম বয়সী শিশুরাই ধর্ষণের শিকার বেশি হচ্ছে। আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে বাল্য বিয়েও।’ এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের কথায়, ‘শিশু ধর্ষণ ও বাল্য বিয়ে রোধের জন্য সবাইকে এখনই জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। নয়তো পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।’